বরগুনার বামনা উপজেলার সোনাখালী গ্রামে একটি ডোবা থেকে সদর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক রিপন হাওলাদারের (৩৮) ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে বামনা থানা পুলিশ। পরিবারের দাবি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ডোবার ভেতর পুতে রাখা হয়েছিলো। নিহত ওই যুবলীগ নেতা উপজেলার সোনাখালী গ্রামের রশিদ হাওলাদারের ছেলে। তিনি সাত বছরের এক সন্তানের জনক ছিলেন।
আজ সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাতটায় নিহতের মা রিজিয়া বেগম বাড়ীর পিছনে বাগানের মধ্যে তার ছেলের ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে বামনা থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি বামনা থানা পুলিশ। নিহতের পরিবারের পক্ষে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
রিজিয়া বেগম জানায়, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তার ছেলেকে প্রতিপক্ষরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে বাড়ীর পিছনে একটি ডোবায় পুতে রাখে।
তিনি আরও জানান, তার ছেলে ইজিবাইক চালক। রবিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বাড়ীর সম্মুখে সড়কের পাশে তার ইজিবাইকটির ব্যাটারি চার্জ দিতে আসে। পরে সে আর ঘরে ফেরেনি। এরপর থেকে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বাড়ির পিছনে একটি বাগানের মধ্যে ডোবার পানিতে ছেলের পায়ের জুতা ভাসতে দেখতে পান তিনি। পরে একটি লাঠি দিয়ে ওই ডোবার ভিতর খুজলে তার লাশ ভেসে উঠে। পরিবারের অন্য সদস্যদেরা সেখানে গিয়ে তার লাশ দেখতে পায়। পরে তারা পুলিশকে বিষয়টি জানায়।
পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসে।
নিহত রিপনের ছোট ভাই সেলিম জানান, তার চাচা চাঁন মিয়া হাওলাদার, আ. সহিদ হাওলাদার ও সৎভাই ইলিয়াস হাওলাদারের সাথে তাদের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এ ঘটনায় সৎভাই ও চাচাদের আসামী করে একটি মামলা চলমান। এই মামলায় সৎভাই মো. ইলিয়াস হাওলাদার (৪২) গত রবিবার সে জামিনে মুক্তি পেয়ে তাদেরকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করে।
এ ঘটনায় বামনা থানার অফিসার ইন চার্জ মো.মাসুদুজ্জামান বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি ডোবা থেকে উদ্ধার করে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা কোর্টে পাঠানো হবে। ঘটনাটি তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।