 
                                            
                                                                                            
                                        
অনলাইন ডেস্ক :: বরগুনার বেতাগী উপজেলার পৌরসভার বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন দোকানে আগুন লেগে ৬টি দোকানের তেলের ড্রাম, দোকানঘর ও অন্যান্য আসবাবপত্রসহ সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে দোকানঘরে থাকা ১৪ জিলদ পবিত্র কোরআন শরিফ অক্ষত রয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন গ্যাস ও পেট্রল ব্যবসায়ীর দোকান থেকে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২৫ লাখ টাকা হবে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা দাবি করেন।
স্থানীয়রা জানান, পৌরসভার বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন গ্যাস ও পেট্রল ব্যবসায়ী মো. লিটন বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তির দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই দোকানসহ পাশের তেলের দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে ছয়টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
বেতাগী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান মিয়া ও বেতগী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. সালাউদ্দিন বলেন, আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা তাদের প্রয়োজনীয় মালামাল খুঁজতে গিয়ে কোনো ধরনের মালামাল অক্ষত অবস্থায় পাননি। তবে ক্ষতিগ্রস্ত তেল ব্যবসায়ী মো. রুবেল মিয়ার দোকানে থাকা ১৪ জিলদ কোরআন শরিফ অক্ষত পাওয়া গেছে।
বেতাগী থানার ওসি বলেন, আমি হতবাক মহান আল্লাহর রহমত এমনই হয়। আল্লাহর কালাম পৃথিবীর কোনো শক্তি বিনষ্ট করতে পারে না এটি তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
তিনি বলেন, এই কোরআন শরিফগুলো একটি তেলভর্তি ড্রামের ওপর রাখা ছিল মহান আল্লাহর কুদরতে দোকানের সব পুড়ে ছাই হয়ে গেলেও সেই ড্রামের তেলেও একটু আগুন ধরেনি। আর কোরআন শরিফের কোনো অক্ষরও পুড়েনি।
বেতাগী উপজেলা পরিষদসংলগ্ন মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মো. আবদুল হাই নেছারী বলেন, আল্লাহপাক পবিত্র কোরআন শরিফ নাজিল করেছেন। তিনিই তার রক্ষাকারী। মানুষের ঈমান-আমল নষ্ট হতে চলেছে। এখনই আল্লাহর দেয়া বিধান মেনে চলে ঈমান ও আমলকে মজবুত করা প্রয়োজন।