 
                                            
                                                                                            
                                        
অপহরণের প্রায় দেড় মাস পর এক মাদ্রাসাছাত্রী পালিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন।
বুধবার বিচারক মো. হাফিজুর রহমান মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনা থানার ওসিকে এজাহার নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলো- বরগুনা সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামের নজরুল ইসলাম কাজি ও তার ছেলে সাকিব।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, আসামি সাকিব বিভিন্ন সময় দশম শ্রেণির ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে যৌন হয়রানি করত ও প্রেমের প্রস্তাব দিত।
কিন্তু মাদ্রাসাছাত্রী প্রস্তাবে রাজি না হলে সাকিব তাকে অপহরণের পরিকল্পনা করতে থাকে। গত ১৮ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টার সময় সাকিব ও অজ্ঞাত কয়েকজন গৌরীচন্না কলেজের পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থাকে।
এ সময় মাদ্রাসাছাত্রী ও তার মা বরগুনা বাজার থেকে গৌরীচন্না কলেজের কাছে ফাঁকা রাস্তার ওপর পৌঁছামাত্র সাকিব ও অজ্ঞাতরা চাকু বের করে খুনের ভয় দেখিয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে মোটরসাইকেলে করে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
মামলার বাদী আলমগীর হোসেন বলেন, আমার মেয়েকে বিভিন্ন স্থানে খুঁজে না পেয়ে সাকিবের বাবা নজরুল কাজির কাছে গিয়ে জানালে তিনি অল্প কয়েক দিনের মধ্য আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা জানান।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিকালে অপরিচিত মোবাইল ফোনে আমার স্ত্রীকে আমার মেয়ে জানায়, সে পালিয়ে বাড়ি ফিরছে। পরের দিন সকালে আমার মেয়ে বাড়ি এসে জানায়, আসামি সাকিব তাকে বিভিন্ন স্থানে রেখে ধর্ষণ করেছে।
মামলার বাদী আলমগীর হোসেন জানান, দুই সপ্তাহ আগে বরগুনা থানায় তিনি মামলা করতে গেলে থানা মামলা না নিয়ে ট্রাইব্যুনালে মামলা করার পরামর্শ দেয়।
এ বিষয়ে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম তারিকুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে বরগুনা থানায় কেউ মামলা করতে আসেনি। মামলা করতে আসলে অবশ্যই মামলা নিতাম।