বন্ধ হয়ে যাওয়া রেল সংযোগ পুনরায় চালু করতে চায় বাংলাদেশ-ভারত

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া ১২টি রেল সংযোগ ফের চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। শুক্রবার সন্ধ্যায় আগরতলায় রোটারি ক্লাবের ‘সেতুবন্ধন’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একথা বলেন তিনি।

আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে উভয় দেশের রোটারি মাল্টি জেলার প্রায় আটশতাধিক প্রতিনিধ নিয়ে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সূচনা হয়। যার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।

মুজিবুল হক বলেন, ‘আমরা চাই যে ভারতভাগের পূর্বে যে রেল লাইনের অস্তিত্ব ছিল সেগুলিকে পুনরায় চালু করা। এই লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া ১২টি রেলওয়ে সংযোগ চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য দুই দেশের সরকারই একে অপরকে সহায়তা করছে’।

ভারতভাগের আগে দুই দেশের মধ্যে যে ১২টি রেলওয়ে সংযোগ ছিল তার মধ্যে আখাউড়ার সঙ্গে রেল সংযোগ অন্যতম। আগরতলা-আখাউড়ার রেল লাইনের ভারতীয় অংশের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশের অংশেও কাজ শুরু হবে। এজন্য দরপত্রও আহ্বান করা হয়েছে।

ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সরকার প্রকল্পের জন্য অর্থও পেয়েছে।

বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী জানান, ‘ভারতীয় অর্থায়নে ব্রাম্মণবেড়িয়া জেলায় তিতাস ও ভৈরব নদীর ওপর দ্বিতীয় রেলসেতু নির্মিত হয়েছে। এই সেতু আগামী কিছুদিনের মধ্যে উদ্বোধন হবে’।

তিনি আরও জানান ‘বর্তমানে ঢাকা থেকে কলকাতা পর্যন্ত সরাসরি ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস’ ট্রেন চালু আছে। আগামী মাসে খুলনা থেকে কলকাতার মধ্যে ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ নামে আরও একটি ট্রেন চালুর কথা রয়েছে। পাশাপাশি রাজশাহী-কলকাতার মধ্যে ট্রেন চালানোর ব্যাপারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাব রয়েছে বলেও জানান রেলমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, আগরতলা আখাউড়া রেল সংযোগে মোট লাইন হবে ১৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে ত্রিপুরার দিকে হবে ৫ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশের দিকে হবে ১০ কিলোমিটার লাইন। ত্রিপুরার দিকে ৫ কিলোমিটার লাইনের মধ্যে ৩.৭ কিলোমিটার লাইন হবে উড়াল পুলের মতো, বাকী ১.৭ কিলোমিটরর লাইন যথারীতি মাটির উপর দিয়েই হবে।

ত্রিপুরার ৫ কিলোমিটর লাইন নির্মাণে প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ। এখন চলছে ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটা ও মাটি সমান করার কাজ। ১৫ কিলোমিটার লাইন নির্মাণে পুরো ব্যয়ভার বহন করবে ভারত সরকার।

এপ্রসঙ্গে মুজিবুল হক জানান, ‘আগরতলা-আখাউড়ার মধ্যে ১৫ কিলোমিটার রেল সংযোগের প্রকল্পের কাজ যথেষ্ট সন্তোষজনক। বালাদেশের দিকে এই লাইন পাতার জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়েছে’।