১৯২০ সালের ১৭ মার্চ রাতে জন্মগ্রহণ করা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মঙ্গলবার। তবে করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি বিবেচনায় মুজিববর্ষের মূল অনুষ্ঠান স্থগিত করে পরিবর্তিত পুনর্বিন্যাস কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সরকার।
সে অনুযায়ী সাজানো হয়েছে ১৭ মার্চের অনুষ্ঠানমালা। স্বাধীনতার স্থপতি, বাঙালী জাতির অহংকার এই নেতার জন্মশত বার্ষিকী উদ্যাপনে সারাদেশের ন্যায় বরিশালেও নেয়া হয়েছে দু’দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি। যার সূচনা হবে সোমবার দুপুর ২টা থেকে।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নেয়া সূচনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগর ভবনের সামনে আলপনা ও সাজসজ্জাকরণ কাজের উদ্বোধন করবেন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। এরপর ১৭ই মার্চের প্রথম প্রহরে নগর ভবন চত্বরে আতশবাজী উৎক্ষেপনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন করবেন তারা।
এছাড়াও দু’দিনব্যাপী কর্মসূচীতে রয়েছে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পুষ্পস্তাবক অর্পণ, স্বেচ্ছায় রক্তদান, দোয়া-মোনাজাত, কেক কাটাসহ নানা কর্মসূচি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীর দু’দিন আগেই সাজসাজ রব পড়েছে বরিশাল নগরীতে। বিশেষ করে রাতের নগরীকে নববধূর রূপ দিয়েছে রং বেরংয়ের আলোকসজ্জা। এর ফলে নগরবাসীর মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবের আমেজ।
নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনের লক্ষ্যে নগরীর প্রায় সকল সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নানা রংয়ের আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। বহুতল ভবনগুলো সাজানো হয়েছে বিয়ের সাজে।
বিশেষ করে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবন, জেলা পরিষদ কার্যালয়, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, প্রশাসনিক দপ্তর, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বহুতল স্থাপনায় হরেক রকম আলোকসজ্জা বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীর আগাম জানান দিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীকে ঘিরে নগরীর প্রাণকেন্দ্র থেকে শুরু করে শহরতলী পর্যন্ত বিভিন্ন শুভেচ্ছা ব্যানার, পোস্টার এবং বিলবোর্ড লাগানো হয়েছে। এতে শোভা পেয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিভিন্ন কর্মকা-ের তথ্যচিত্র।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ‘তাঁদের উদ্যোগে সম্মিলিতভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীর বিস্তর কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ১৭ মার্চ তাঁদের গৃহিত অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১৭ মার্চ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পাতাকা উত্তোলন, সকাল ৯টায় এ্যানেক্স ভবন চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পূষ্পস্তাবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন, সকাল ১০টায় নগর ভবন চত্বরে শেবাচিম বঙ্গবন্ধু ক্লাবের সহযোগিতায় রক্তদান কর্মসূচি,
বেলা ১২টায় একই স্থানে দুস্থ ও অসহায় রিক্সা চালককে রিক্সা বিতরণ ও ৩০টি ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের নিকট পরিচ্ছন্নতা ভ্যান বক্স হস্তান্তর, বাদ জোহর সিটি কর্পোরেশন এলাকার প্রতিটি মসজিদে বঙ্গবন্ধুর রূহের মাগফিরাত কমনায় বিশেষ দোয়া মোনাজাত এবং মন্দির, গীর্জায় সুবিধাজনক সময়ে বিশেষ প্রার্থনা, সন্ধ্যা ৭টায় নগর ভবন চত্বরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
যেখানে ঢাকা থেকে আগত দেশের তারকা শিল্পীরা গানের মুর্ছনা ছড়াবে। এছাড়া রাত ৮টায় নগর ভবন চত্বরে কেক কাটা ও আতশবাজী উৎক্ষেপনের মধ্যে দিয়ে দু’দিন ব্যাপী কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটবে।