 
                                            
                                                                                            
                                        
তার মন্ত্রী হওয়া এবং পাশাপাশি বিসিবি প্রধান হিসেবে থাকা নিয়ে নানা কথাবার্তা। নাজমুল হাসান পাপনের দুই পদে একসঙ্গে থাকায় আইনগত সমস্যা নেই। সে তথ্য গতকাল বৃহস্পতিবারই জেনে গেছেন সবাই।
নাজমুল হাসান পাপনও মোটামুটি জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি সহসাই বিসিবি থেকে পদত্যাগ করছেন না। আজ শুক্রবার তিনি সে কথা আরও বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন।
সকালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা ও পুষ্পস্তবক অর্পণে গিয়ে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন নাজমুল হাসান পাপন। তারপর দুপুরে গুলশানে নিজ বাসায় আরও একবার টিভি চ্যানেলের সামনেও কথা বলেন নতুন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী।
দুই জায়গায় প্রায় একই সুরে কথা বলেন তিনি। যার সারমর্ম হলো, তার একইসঙ্গে ক্রীড়ামন্ত্রী থাকা আর বিসিবি প্রধানের দায়িত্ব পালন করায় কোনো আইনগত সমস্যা নেই। তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেন, তার বিসিবি প্রধান পদে থাকার পাশাপাশি এসিসি ও আইসিসির পদে থাকা একই সূত্রে গাঁথা।
কাজেই আইসিসির পদের মেয়াদকাল শেষ হওয়ার আগে সখান থেকে সরে দাঁড়ানো কঠিন। সেজন্যই তিনি তার এবারের মেয়াদকাল পুরো থাকতে চান এবং দিনক্ষণের হিসেবে সেটা আরও প্রায় দেড় বছর।
কেউ কেউ ভাবছেন, বলছেনও-নাজমুল হাসান পাপন বিসিবি ছাড়লে মাশরাফি বা সাকিব হবেন বিসিবি সভাপতি। তা নিয়েও পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিয়েছেন পাপন। জানিয়ে দিয়েছেন , তিনি বিসিবি প্রধানের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেও সহসাই মাশরাফি-সাকিবের সে পদে আসার সুযোগ নেই।
তার একইসঙ্গে মন্ত্রী ও বিসিবি সভাপতি থাকা নিয়ে পাপন ফের বলেন, ‘আইনে কোনো সমস্যা নেই, এটাই হচ্ছে বড় কথা। কথা হচ্ছে একসাথে যদি দুটোতে থাকি তাহলে একটা স্বাভাবিকভাবেই মনে হতে পারে যে ক্রিকেটের প্রতি আমার দৃষ্টিটা একটু বেশি। এটা সকলের ধারণা। এটা অস্বাভাবিক কিছু না।’
পাপন যোগ করেন, ‘আইসিসির মেয়াদটা শেষ হয়ে গেলে তখন একটা চিন্তা করে ওদের সঙ্গে কথা বলে বের হয়ে আসার সুযোগ আছে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই এখন যারা বোর্ডের পরিচালক আছেন, তাদের মধ্যে থেকে একজন হবে। মানে বাইরে থেকে কারও আসার কোনো সুযোগ নেই।’
নতুন ক্রীড়া মন্ত্রী পরিষ্কার ব্যাখ্যা করেছেন যে, আইসিসির পদ থেকে ইচ্ছে করলেই সরে দাঁড়ানো কঠিন। পুরো বিষয়টি ভেঙে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী বলেন, ‘এখানে বেসিক কয়েকটা ব্যাপার আছে, প্রথম কথা হচ্ছে ইচ্ছা করলেই ছেড়ে দেওয়া যায় না এখন। সেটা আমরা জিম্বাবুয়ের ক্ষেত্রেও দেখেছি দুই বছর তারা প্রায় ব্যান (নিষিদ্ধ), শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও এবার দেখেছি। আমি মনে করি এমন কিছু তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না, যেটা দেশের ক্রিকেটের ক্ষতি করতে পারে।’
‘তবে অপশন কী কী আছে। একটা অপশন ওদের সঙ্গে আমার কথাটা বলতে হবে। এখানে দুটো জিনিস আছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটা হচ্ছে আমাদের মেয়াদ যেটা সবসময় আইসিসি চায় তাদের ইলেকটেড বডির (নির্বাচিত কমিটি) ফুল মেয়াদটা। আর একটা হচ্ছে আইসিসির মেয়াদ’-যোগ করেন পাপন।