চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে জিপ গাড়ির ধাক্কায় দুই ছাত্রী নিহতের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) জীবন চাকমা এবং সার্জেন্ট আল আমিনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদেরকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল।
তিনি বলেন, ফটিকছড়ির দুর্ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততা আছে কি না তদন্ত করা হচ্ছে। হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আপাতত প্রশাসনিক কারণে তাদের প্রতাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ১টার দিকে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের ফটিকছড়ি উপজেলার ফেলাগাজী দিঘী এলাকায় জিপ গাড়ির ধাক্কায় মিশু আকতার (১৬) ও নিশা মনি (১৮) নামে দুই ছাত্রী নিহত হয়। এদের মধ্যে মিশু উপজেলার দক্ষিণ পাইন্দং মোল্লার বাড়ির আবুল বাশারের কন্যা। এছাড়া নিশা মনি একই এলাকার মোহাম্মদ লোকমানের কন্যা। দুজনই ওই এলাকার হাইদচকিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
স্বজনদের অভিযোগ, সড়কে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তার ধাওয়া খেয়ে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর ফলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই দুই ছাত্রীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষুব্ধ জনগণ ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তার মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য বাদী হয়ে ফটিকছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাদাত হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, দুর্ঘটনার পর জিপচালককে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি এখনো পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।