প্রেমে সাড়া না দেওয়ায় কলেজছাত্রকে এসিড!

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় জামালপুরে এক কলেজছাত্রের মুখ এসিড দিয়ে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এসিডদগ্ধ কলেজছাত্র মাহমুদুল হাসান মারুফকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় এক কলেজছাত্রী ও তাঁর মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। আদালত আগামী রোববার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন মা-মেয়েকে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, জামালপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মাহমুদুল হাসান মারুফকে প্রেম নিবেদন করে একই গ্রামের বাসিন্দা ও একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাসার সামনে দিয়ে যাওয়ার পথে ওই ছাত্রী মারুফকে তাদের বাসায় যেতে বলে। এতে রাজি না হলে আকস্মিকভাবে তার মুখে এসিড ছুড়ে মারে ওই ছাত্রী। এসিডে মারুফের পুরো মুখ ছাড়াও কাঁধের কিছু অংশ ঝলসে যায়।

পরে মারুফকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় লোকজন।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মো. শফিকুজ্জামান জানান, এসিডদগ্ধ মারুফকে স্থানীয় লোকজন রাতেই হাসপাতালে নিয়ে আসে। তবে তাঁদের হাসপাতালে বার্ন ইউনিট না থাকায় গুরুতর অবস্থায় গতকাল শুক্রবার দুপুরে মারুফকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

এসিডদগ্ধ মারুফ বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ঘটনার পর ওইদিন রাতেই পুলিশ ওই কলেজছাত্রী ও তার মাকে আটক করে। আটকের পর ওই ছাত্রী এসিড নিক্ষেপের কথা অস্বীকার করে স্থানীয় সাংবাদিকদের বলে, ‘আমি মারুফকে চিনি না। ওর সাথে আমার কোনো সম্পর্কও নেই। যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে তখন আমি মায়ের সাথে বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলাম।’

আটক মা ও মেয়েকে গতকাল শুক্রবার বিকেলে জামালপুর সদর আমলী আদালতে হাজির করে পুলিশ। বিচারক নাজমুল হক তাঁদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিমুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আজ শনিবার বলেন, এই ঘটনায় মারুফের বাবা দুদু মিয়া বাদী হয়ে গতকাল এসিড নিয়ন্ত্রণ আইনে কলেজছাত্রী ও তার মাকে আসামি করে জামালপুর থানায় একটি মামলা করেছেন। মা-মেয়েকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং তাঁদের জিজ্ঞাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। কাল রোববার রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।