বরিশাল বিভাগের পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া ৫ম উপজেলায় ৪র্থ পর্বের ৩১ মার্চের শুধু উপজেলা পরিষদ ভাইচ চেয়ারম্যন পদের নির্বাচনে ব্যাপক ভোট ডাকাতী, টেবিলে শীল মারা, জালভোট প্রদান করাসহ জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া ফলাফল ঘোষণার অভিযোগ করেছেন ওয়াকার্স পার্টির মনোনিত চশমা প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী খান মোঃ রুস্তুম আলী। প্রশাসনের সহযোগীতায় সরকার দলীয় ক্যাডারদের দ্বারা জেপি (মঞ্জু’র ) সাইকেল প্রতিকের প্রার্থী তার বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন রুস্তুম আলী। তিনি পুন: নির্বাচনের দাবী জানান। রবিবার দুপুরে বরিশাল প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই অভিযোগ করেন খান মোঃ রুস্তুম আলী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির বরিশাল জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক নজরুল হক নিলু, জাতীয় শ্রমীক ফেডারেশনের বরিশাল জেলা সভাপতি এস.এম জাকির হোসেন, ভান্ডারিয়া ওয়াকার্স পর্টি সদস্য ও বরিশাল জেলা আসাদ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রতন চক্রবর্তী প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে খান মোঃ রুস্তুম আলী বলেন, উপজেলা নির্বাচনের পূর্ব থেকেই আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টি মঞ্জু সমর্থিত (জেপি) সাইকেল প্রতিকের প্রার্থী মশিউর রহমান মৃধা ক্ষমতাশীলদের অর্থায়নে তার বিরুদ্ধে চক্রান্তসহ নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে নেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। কোনভাবেই নির্বাচন থেকে সড়িয়ে দিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হতে না পারার জের হিসাবে নির্বাচনে জালিয়াতি, প্রকাশ্য টেবিলেশীল মেরে জালিয়াতির নির্বাচন করেছে। আর এর সহযোগিতা করেছে প্রশাসন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ৩০ মার্চ থেকেই তার প্রতিপক্ষ ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক ব্যাক্তিরা ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যন মহিউদ্দিন মহারাজসহ ৬টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও দলীয় ক্যাডার বাহিনীরা বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে কোন ধরনের সুবিদা আদায় করতে না পেরে ৩১ মার্চ নির্বাচনে প্রশাসনের সহযোগীতায় তেলিখালী, ভিটাবাড়িয়া, ধাওয়া ও ইকড়ি ইউনিয়নসহ ৫১টি কেন্দ্রে দখল করে জাল ভোটের ব্যবস্থা করে চশমা প্রতীকের ৮০% জনসমর্থন হাইজ্যাক করার মাধ্যমে তৃনমূল মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করে। পুনরায় ভোট দেওয়া না হলে রুস্তম আলী খান নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করার প্রস্তুতি গ্রহন করেছেন বলে সাংবাদিকদের জানান।