রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে চিঠি পাঠাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চিঠি নিয়ে প্রধামন্ত্রীর দূত হিসেবে এ দুই দেশ সফর করবেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি নির্দেশেই আগামীকাল রাশিয়ার উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রতিমন্ত্রী। তিন দিনের মস্কো সফর শেষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বেইজিং যাবেন তিনি। এর মাধ্যমে শুরু হবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন ও রাশিয়াকে পাশে পাওয়ার জোরদার তৎপরতা। টার্গেট রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে চীন ও রাশিয়াকে সক্রিয়ভাবে সহায়ক ভূমিকায় নিয়ে আসা। বাংলাদেশ মনে করে, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয়েই যেহেতু চীন ও রাশিয়ার বন্ধু সে কারণে তারা রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে মিয়ানমারকে রাজি করাতে সক্ষম হবে। জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক ও চিফ অব প্রটোকল শহিদুল করিমকে গণভবনে ডেকেছিলেন। সেখানে তাদের মধ্যে বৈঠক হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চান। তারা এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। তুলে ধরা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নানামুখী উদ্যোগের কথা। বিশেষ করে অং সান সু চির দফতরের মন্ত্রী খিয়ো টিন্ট সোয়ের সাম্প্রতিক ঢাকা সফরকালে যেসব আলোচনা হয়েছে; সে সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী সংকট মোকাবিলায় কিছু দিকনির্দেশনা দেন। এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে প্রধানমন্ত্রী তার বিশেষ দূত হিসেবে বেইজিং ও মস্কো সফরে গিয়ে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে এই দুই দেশের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করার নির্দেশ দেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রের খবর, বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর আগামী ১৫ থেকে ১৭ অক্টোবর রাশিয়া সফরের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি সেখানে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন বলে জানা গেছে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এই সফরকালে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে লেখা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিঠি নিয়ে যাবেন। এদিকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের চীন সফরের দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং উইয়ের সঙ্গে বৈঠকের কর্মসূচি নির্ধারণের পর চীন সফরের সময়সূচি জানা যাবে। সেখানে প্রতিমন্ত্রী চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিঠি নিয়ে যাবেন।