অনলাইন ডেস্ক: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ভাঙ্গনকবলিত এলাকায় ফ্রি-স্টাইলে চলছে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন। দীর্ঘদিন এভাবে বালু উত্তোলনে নদী পাড়ের ভাঙ্গন বাড়বে বলে শঙ্কা এলাকাবাসীর। অন্তত ২০টি ড্রেজার বালু কাটার কাজ করছে। বালু কাটার ঘটনায় সম্প্রতি রাবনাবাদ নদীর ঢোশ এলাকায় পায়রা বন্দর নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড অভিযান চালায়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কলাপাড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনুপ দাশের নেতৃত্বে গঠিত ভ্রাম্যমাণ আদালত একটি ড্রেজার জব্দ করেন।
এছাড়া এটিএন এন্টার প্রাইজ, এমভি খাঁজা এনায়েতপুরী ও সবুজ-সুমন ড্রেজার মালিককে এক লাখ টাকা করে অর্থদ- দিয়েছেন। তাৎক্ষণিক বন্ধ করে দেয়া হয় বালু উত্তোলন। ইতো পূর্বে চরচান্দুপাড়া ব্যুরোজালিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। কিন্তু‘ কয়েকদিন না যেতেই ফের অন্য স্পটে বালু উত্তোলন শুরু হয়। কোন কিছুতেই যেন থামে না বালু উত্তোলনের কাজ। ফলে রাবনাবাদ পাড়ের মানুষের উৎকণ্ঠা বাড়ছে। এছাড়া বেড়িবাঁধের অভ্যন্তরে বাবলাতলা বাজার সংলগ্ন বালিয়াতলী খালেও দেখা গেছে স্থা ,নীয়ভাবে শ্যালো ড্রেজার দিয়ে মাসাধিককাল পর্যন্ত বালু উত্তোলন করে দেদার বিক্রি হচ্ছে। সরকারী দলের প্রভাব দেখিয়ে সেখানকার এক প্রভাবশালী খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা করছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) অনুপ দাশ জানান, সরকারী বালুমহাল না হলেও দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গন কবলিত ঢোশ এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র।