সিদ্ধিরগঞ্জে গার্মেন্টস কর্মকর্তার স্ত্রী ও দুই মেয়েসহ একই পরিবারের নিখোঁজ পাঁচজনের মধ্যে চারজনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এখনও উদ্ধার করতে পারেনি স্ত্রীকে। পুলিশ বলছে, পরকীয়ার প্রেমের টানে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে গেছেন তিনি।
বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিক সম্মেলন এসব জানান পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ।
এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি পাঁচজন নিখোঁজ হন। এরপর ১৩ ফেব্রুয়ারি জিডি করেন গার্মেন্টস কর্মকর্তা জামাল সরদার। উদ্ধারকৃতরা হলেন- জামাল সরদারের বড় মেয়ে আশামনি (১১), প্রিয়া মনি (৪) ও তার ভায়রার মেয়ে সোমাইয়া (১৪) ও শালার ছেলে আজিম (৭)। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন তার স্ত্রী নিপা বেগম (৩০)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ভায়রার ছেলে নাজিম উদ্দিন ওরফে আজিমকে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ইকুরিয়া এলাকার নুরআনি মাদ্রাসা থেকে, বড় মেয়ে আশা মনিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ল্যাবরেটরি আবাসিক স্কুল থেকে, ছোট মেয়ে প্রিয়া মনি এবং ভাইরার মেয়ে সোমাইয়াকে কেরানীগঞ্জ একটি এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
এদিকে পরকীয়া সম্পর্ক থাকায় ফুসলিয়ে সুমন নামে এক ব্যক্তি টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকারসহ নিপাকে নিয়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় স্বামী জামাল সরদার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি পোশাক কারখানায় প্রোডাকশন ম্যানেজার (পিএম) জামাল সরদার ১৩ ফেব্রুয়ারি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেন।
জিডিতে তিনি উল্লেখ্য করেন, প্রতি সপ্তাহের মতো তিনি ৭ ফেব্রুয়ারি কাজ শেষে গাজীপুর থেকে সিদ্ধিরগঞ্জের নূরবাগ আদর্শনগরস্থ ভাড়া বাসায় স্ত্রী কন্যাদের কাছে আসেন। শনিবার ভোর রাতে তিনি আবার কর্মস্থলে চলে যান। যাওয়ার সময় স্ত্রীর হাতে বেতনের ৭০ হাজার টাকা দিয়ে যান। পরে রবিবার রাত পৌনে ১০ টা থেকে স্ত্রী নিপা বেগমের মোবাইল ফোনটি বন্ধ পান জামাল সরদার। সোমবার সকালে জামাল সরদার তার ছোট ভাই খলিলকে ফোন করে তার বাসায় খোঁজ খবর নিতে বলে। খলিল বাসায় গিয়ে দেখেন বাসার দরজায় তালা ঝুলানো।
এ খবর পেয়ে জামাল সরদার তার আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় খোঁজ নিয়ে তাদের কোনো সন্ধান পাননি এবং তার স্ত্রীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পান। জামাল সরদার বিষয়টি ব্রাহ্মণবাড়িয়া তার শ্বশুর বাড়িতে জানালে ওই বাড়ির লোকজন বলেন, তারা এখানে আসেননি। জামালের গ্রামের বাড়ি বরিশালের উজিরপুরের সানুহার গ্রামে। তার শশুর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাঞ্চনপুর এলাকায়।