পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় একটি গাছে দুই শতাধিক লাউ ধরেছে। উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়নের দেবপুর গ্রামে গৃহবধূ কহিনুর বেগম তার বাড়ির উঠানে লাউয়ের বীজ রোপন করেন। কোন ধরনের কীটনাশক ছাড়াই ঠিকমত পরিচর্যা, প্রয়োজনমত দেশীয় সবুজ সার এবং গোবর প্রয়োগ করেন। ধীরে ধীরে এ লাউ গাছটি বড় হতে থাকে। আর ক্রমশই গাছটিতে লাউ ধরতে থাকে। এ পর্যন্ত তিনি ওই লাউ গাছটি থেকে স্থানীয় বাজারে প্রায় বিশ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছেন বলে ওই গৃহবধূ জানিয়েছেন।
কহিনুর বেগম জানান, লাউ গাছের বয়স তিন মাস অতিবাহিত হওয়ার পর থেকে পুরো উঠান জুড়ে মাচায় লাউ ধরা শুরু করে। প্রতিটি লাউ প্রায় ১৫ থেকে ২০ কেজির মত ওজন হয়। স্থানীয় বাজারে এক একটি লাউ ৫০ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া তিনি ওই গাছের লাউ শাকও বিক্রি করেছেন। এ বছর তার গাছ থেকে প্রায় দুই শতাধিক লাউ বিক্রি করেছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
কোহিনুর বেগমের স্বামী প্রতিবন্ধী মো.গাজী রহমান বলেন, লাউ গাছটি আমাদের সংসারে আয়ের একটি পথ। এ থেকে ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার খরচও বহন করছি। প্রতি বছরই লাউ গাছের চাষ করেছি। তবে এ বছর শুধুমাত্র একটি গাছ থেকে দুই শতাধিক লাউ বিক্রি করেছি। এখনো গাছটিতে অর্ধশতাধিক লাউ ঝুলে রয়েছে।
প্রতিবেশী মো. সুলতান হাওলাদার বলেন, একটি গাছে প্রায় দুইশটি লাউ ফলিয়ে কোহিনুর বেগম রেকর্ড করেছেন। একটি গাছে এতো লাউ হয় তা তিনি কখনো দেখেননি।
উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান মিজান জানান, একটি গাছে সাধারণত ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৮০টা লাউয়ে ফল হয়। উচ্চ ফলনশীল জাতের এ লাউ গাছে দুইশটির মত ফল হয়েছে। এটা আসলে দেখার মত।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.মশিউর রহমান জানান, এটি একটি জেনেটিক্যাল পরিবর্তন। উচ্চ ফলনশীল জাতের গাছে ভালমত পরিচর্যা করলে অনেক বেশি ফলন হতে পারে।