অনলাইন ডেস্ক :: পটুয়াখালীর কলাপাড়ার জাকারিয়া হাওলাদার আবির (২১) নামে এক কলেজছাত্রের দুই পা হাতুড়িপেটা করে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার উপজেলার চাকামাইয়া ইউনিয়নে কলাপাড়া উপজেলার চাকামাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির কেরামত হাওলাদারের ছেলে মো. হাসিব হাওলাদারের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
আহত আবির পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বর্তমানে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় আহতের বাবা রুহুল আমিন বাদী হয়ে কলাপাড়া থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন।
এ প্রসঙ্গে কলাপাড়া থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার পরপরই অভিযুক্তরা গা-ঢাকা দিয়েছে। বেশ কয়েকবার অভিযান চালানো হয়েছে।
ভিকটিমের পরিবারের অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার আবির ও তার বন্ধু মাইনুল প্যাদা মোটরসাইকেলযোগে নিজ গ্রামের বাড়ি চাকামাইয়া থেকে কলাপাড়া উপজেলার উদ্দেশে রওনা হন। গামুরবুনিয়া এলাকায় পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা হামলাকারীরা গাছের গুঁড়ি ফেলে তাদের গতিরোধ করে।
এ সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই চাকামাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পুত্র হাসিব ও তার সহযোগী হাসান গাজী, মোস্তফা হাওলাদার, সিদ্দিক, নাসির উদ্দিন, রুবেলসহ অন্তত ১৭-২০ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে আবিরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। মারধরের একপর্যায় হামলাকারীরা লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে আবিরের দুই পায়ে মারাত্মকভাবে আঘাত করে। হামলার পর তাকে রাস্তায় ফেলে রাখা হয়।
পরে স্থানীয়রা আবিরকে কলাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি দেখে দায়িত্বরত ডাক্তার বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
বরিশাল মেডিকেল কলেজের বরাত দিয়ে আবিরের বড় ভাই নেছার জানান, আবিরকে অন্তত ৪-৫ মাস বিছানায় থাকতে হবে। তার সুস্থ হতে বড় ধরনের অস্ত্রপোচারের প্রয়োজন হতে পারে।
আবিরের পিতা রুহুল আমিনের অভিযোগ, বিগত দিনে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের জের ধরে তাদের মধ্যে কলহ চলে আসছে। ওই ইউনিয়নে আবিরের চাচা মৃত আব্দুল মান্নান নির্বাচনে অংশ নিয়ে আসছিলেন। হামলাকারীদের ধারণা আবিরের বড় বোন পরবর্তী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। এরই ধারাবাহিকতায় হামলাকারীরা তাদের পরিবারের সদস্যকে একেরপর এক হয়রানি করে আসছে।
আবিরের বড় ভাই নেছার হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, এর পূর্বে তার বড় ভাই বাশারকে একই স্থানে আটক করে সন্ত্রাসী হামলার পাঁয়তারায় লিপ্ত হলে স্থানীয় ইউপি সদস্য জাকির হোসেন ও স্থানীয়দের সহায়তার প্রাণে রক্ষা পান। এ ছাড়াও একটি খুনের ঘটনায় তার পরিবারের সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে চাকামাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির কেরামত বলেন, গত বৃহস্পতিবার হামলা ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সেটা মারাত্মক ছিল না। দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি। কিন্তু পা গুঁড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শিমু বাহিনী জড়িত।
-যুগান্তর