পটুয়াখালীতে চিকিৎসার নামে এক গৃহধূকে সাবান গুড়া খাওয়ানো হয়েছে। শুধু সাবান গুড়া নয়, জোর করে ওই নারীকে গোবর ও ছাই মুখে ঢেলে পুকুরে চুবানো হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
অসুস্থ গৃহবধূ মনিকা রানী দাসকে (২২) পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত ৩ আগস্ট এমন ঘটনা ঘটে।
মানসিক ভারসাম্যহীন ওই গৃহবধূর বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠি ইউনিয়নের ঢেউখালী গ্রামে। বিষয়টি শুনে আইনগত ব্যবস্থার নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ।
মনিকার বাবা শান্তি দাস বলেন-মনিকার স্বামী অবিনাশ ওমান প্রবাসী হওয়ায় মেয়ে তার কাছে থাকে। তার বাড়ি সদর উপজেলা মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের হরতুকিয়াবাড়িয়া গ্রামে।
কিছুদিন থেকে মনিকা মানসিকভাবে অসুস্থ্ বোধ করে। পরিবারের সঙ্গে উল্টা-পাল্টা আচরণ করে। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পরে পরিবার। মনিকাকে ভূতে ধরেছে বলে লোকে বলাবলি করতে শুরু করে।
পরে তাদের এক আত্মীয়ের হাত ধরে মাদারবুনিয়ার ইউনিয়নের হাঝিখালী গ্রামের কবিরাজ গান্ধি দাসের কাছে যান।
মনিকার মাথা থেকে ভূতের আছর তাড়ানোর জন্য ওই কবিরাজের সঙ্গে ১৫ হাজার টাকা চুক্তি হয় মনিকার বাবার। এছাড়াও কবিরাজি কাজে ব্যবহৃত তিনটা কালো ছাগল,চাল,মিঠাই, নারিকেল, হলুদ শাড়ি, লাল গামছা, আগরবাতি, মোমবাতি, কিনে দেওয়া হয়। মেয়েকে কবিরাজের কাছে রেখে বাড়িতে যায় মনিকার পরিবার।
পরে গত ৩ আগস্ট ওই কবিরাজের বাড়িতে যায় মেয়েকে দেখতে। কবিরাজের বাড়িতে পৌঁছে দেখে মনিকা আগের থেকে আরও অসুস্থ্ হয়েছে। খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে মনিকা।
এসময় মনিকা পরিবারকে জানায়, তাকে চিকিৎসার নামে ওই কবিরাজ সাবান গুড়া,গোবর ও ছাই খেতে দিয়েছে। না খেতে চাইলে তাকে বাধ্য করা হয়েছে বলে জানায় মনিকা।
এছাড়াও চিকিৎসার নামে মনিকাকে জোর করে পুকুরের পানিতে চুবানো হয়েছে। পরে অসুস্থ্ মনিকাকে নিয়ে শহরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আসে পরিবার।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. জিল্লুর রহমান রতন মনিকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে সাবান গুড়া পেটে যাওয়ার কারণে খাদ্য নালীতে ক্ষত দেওয়া দিয়েছে।
মুখে ও চিহ্ন ও ক্ষত দেখা দিয়েছে। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।পটুয়াখালীতে চিকিৎসার নামে এক গৃহধূকে সাবান গুড়া খাওয়ানো হয়েছে।
শুধু সাবান গুড়া নয়, জোর করে ওই নারীকে গোবর ও ছাই মুখে ঢেলে পুকুরে চুবানো হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
অসুস্থ গৃহবধূ মনিকা রানী দাসকে (২২) পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত ৩ আগস্ট এমন ঘটনা ঘটে।
মানসিক ভারসাম্যহীন ওই গৃহবধূর বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠি ইউনিয়নের ঢেউখালী গ্রামে। বিষয়টি শুনে আইনগত ব্যবস্থার নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ।
মনিকার বাবা শান্তি দাস বলেন-মনিকার স্বামী অবিনাশ ওমান প্রবাসী হওয়ায় মেয়ে তার কাছে থাকে। তার বাড়ি সদর উপজেলা মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের হরতুকিয়াবাড়িয়া গ্রামে।
কিছুদিন থেকে মনিকা মানসিকভাবে অসুস্থ্ বোধ করে। পরিবারের সঙ্গে উল্টা-পাল্টা আচরণ করে। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পরে পরিবার।
মনিকাকে ভূতে ধরেছে বলে লোকে বলাবলি করতে শুরু করে। পরে তাদের এক আত্মীয়ের হাত ধরে মাদারবুনিয়ার ইউনিয়নের হাঝিখালী গ্রামের কবিরাজ গান্ধি দাসের কাছে যান।
মনিকার মাথা থেকে ভূতের আছর তাড়ানোর জন্য ওই কবিরাজের সঙ্গে ১৫ হাজার টাকা চুক্তি হয় মনিকার বাবার। এছাড়াও কবিরাজি কাজে ব্যবহৃত তিনটা কালো ছাগল,চাল,মিঠাই, নারিকেল, হলুদ শাড়ি, লাল গামছা, আগরবাতি, মোমবাতি, কিনে দেওয়া হয়।
মেয়েকে কবিরাজের কাছে রেখে বাড়িতে যায় মনিকার পরিবার। পরে গত ৩ আগস্ট ওই কবিরাজের বাড়িতে যায় মেয়েকে দেখতে। কবিরাজের বাড়িতে পৌঁছে দেখে মনিকা আগের থেকে আরও অসুস্থ্ হয়েছে। খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে মনিকা।
এসময় মনিকা পরিবারকে জানায়, তাকে চিকিৎসার নামে ওই কবিরাজ সাবান গুড়া,গোবর ও ছাই খেতে দিয়েছে। না খেতে চাইলে তাকে বাধ্য করা হয়েছে বলে জানায় মনিকা।
এছাড়াও চিকিৎসার নামে মনিকাকে জোর করে পুকুরের পানিতে চুবানো হয়েছে। পরে অসুস্থ্ মনিকাকে নিয়ে শহরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আসে পরিবার।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. জিল্লুর রহমান রতন মনিকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে সাবান গুড়া পেটে যাওয়ার কারণে খাদ্য নালীতে ক্ষত দেওয়া দিয়েছে।
মুখে ও চিহ্ন ও ক্ষত দেখা দিয়েছে। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।