 
                                            
                                                                                            
                                        
পটুয়াখালীতে দুর্বৃত্তের দেয়া আগুনে একটি দুগ্ধ খামারের চারটি গরু পুড়ে মারা গেছে। এ সময় গরু বাঁচাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়েছে খামারী জাহাঙ্গির খলিফা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় জাহাঙ্গিরকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার গভীর রাতে সদর উপজেলার জৈনকাঠি ইউনিয়নের পিরতলা গ্রামে জাহাঙ্গিরের ডেইরি ফার্মে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, দলিল উদ্দিন খলিফার ছেলে জাহাঙ্গির দীর্ঘদিন দিনমজুর ও রিক্সা চালিয়ে সংসার চালাতেন। বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে তিনি একটি গরুর খামার করেন। তার ফার্মে প্রতিদিন ৪০ লিটার দুধ উৎপাদন হতো।
যা তিনি নিজে নিয়মিত পটুয়াখালী শহরের পুরান বাজারে বিক্রি করতো। তবে হঠাৎ করেই আগুনে পুরে গরু গুলো মারা যাওয়ায় খামারি জাহাঙ্গির এখন পথে বসেছে।
খামারী জাহাঙ্গির জানান, ‘আমার আর কিছু রইলো না। এই খামার থেকেই যা আয় হতো তা দিয়ে আমার সংসার এবং ছেলে মেয়ের লেখাপড়া চলতো। সবে মাত্র একটু ভালো ভাবে বেঁচে থাকার চেষ্টা শুরু করেছিলাম, তবে এক রাতেই সব শেষ।’ ফার্মে আগুন লাগার কোন সুযোগ নেই। শক্রতাবসত এই আগুন লাগিয়ে আমার এই সর্বনাশ করেছে।
পটুয়াখালী জেলা ডেইরি ফার্মস এসোসিয়েশনের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘জাহাঙ্গির একজন সফল খামারি ছিল। সে নিজের খামারে উৎপাদিত দুধ নিজেই বাজারে বিক্রি করতো। তার এই ক্ষতি সে একা কোন ভাবেই কাটিয়ে উঠতে পারবে না। সরকার এবং সমাজের বৃত্তবানদের জাহাঙ্গিরের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা অনুরোধ জানাবো।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘গতকাল রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আজ সকালেও পুলিশের একটি টিম ওই এলাকায় কাজ করছে। এটি আসলে দুর্ঘটনা নাকি কারও শক্রতা বসত করা হয়েছে তার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।’