নেছারাবাদে ভোক্তাধিকার আইনে চারটি ডায়গনেস্টিক সেন্টার, দুইটি ক্লিনিক, চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দুটি ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধি, হাসপাতালে দালাল চক্রের দুইজন এবং নিন্ম মানের খাবার পরিবেশন করায় কন্ট্রাকটার সহ তেরটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা প্রদান করে ভ্রাম্যমান এ আদালত।
বুধবার সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ জরিমানা প্রদান করেন। ভোক্তা অধিকার আইনে ডায়গনেস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক গুলোতে পর্যাপ্ত বেড, নিজস্ব ডাক্তার, সার্টিফিকেট বিহীন টেকনিশিয়ান এবং অপরিস্কার থাকার কারনে স্বরূপ ডায়গনেস্টিক সেন্টারকে ৩০,০০০/- টাকা, নোভা ডায়গনেস্টিক সেন্টারকে ৪০,০০০/- টাকা, মেডিপ্রাইম ডায়গনেস্টিক সেন্টারকে ২০,০০০/- টাকা, নেছারাবাদ ডিজিটাল ল্যাবকে ১৫,০০০/- টাকা, মেডিপ্রাইম ক্লিনিককে-৪০,০০০/- এবং এপেক্স হেলথ ক্লিনিককে ১,০০,০০০/- টাকা জরিমানা করেন।
এ সময় ঔষধ কোম্পানির দুই প্রতিনিধি মোঃ ফয়েজ (স্কায়ার) ১৫০০০/- টাকা এবং মোঃ আলমগীর (পপুলার)কে ১৫০০০/- টাকা জরিমানা করেন। দালাল দন্ডবিধি ১৮৬০ এবং ১৮৮ ধারায় হাসপাতালে দালাল চক্রের মোসাঃ মেরী বেগম ও মোঃ আসলাম এবং হাসপাতালের রোগীদের নিন্ম মানের খাবার পরিবেশন করায় কন্ট্রাকটর মোঃ সোহাগকে ৭ দিনের জেল দেন।
একই দিনে জগন্নাথকাঠী বন্দরের চাল ব্যবসায়ী মিঠুন সাহাকে ২২,০০০/- টাকা, গোপাল সাহাকে ৫০,০০০/- টাকা, জহরলাল সাহাকে ৫০,০০০/- এবং মোঃ রফিককে ১০,০০০/- টাকা জারিমানা করেন। সর্বমোট চার লক্ষ সাত হাজার টাকা জরিমানা আদায় ও কন্ট্রাকটর, দালাল চক্রের দুইজনকে ৭ দিনের কারাদন্ড দেয় ভ্রাম্যমান আদালত।
আদালত পরিচালনা করেন, ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও নেছারাবাদ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কাওছার হোসেন। এসময় বরিশাল র্যাব-৮ এর এ.এস.পি মুকুর চাকমা এর একটি টিম উপস্থিত ছিল।