অমৃত রায়,জবি প্রতিনিধি::বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনা ভাইরাস এর প্রকোপে এক নতিন রূপ এর নতুন স্ট্রেইন আবিষ্কার। যদিও বাংলাদেশে এ নিয়ে দ্বিমত প্রকাশে বলা হয়েছে এটি নাকি আগেই বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছিলো।
তবে বিশ্বে এই নতুন স্ট্রেইন নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনার ঝড় চলছে।
আমাদের দেশে এ প্রভাব মোটেও জন সাধারণকে নাড়া দিয়ে উঠতে পারে নি তা স্পষ্টত প্রতীয়মান। তবে নতুন স্ট্রেইন আবিষ্কার কি আবিষ্কৃত ভ্যাক্সিন কে ফেলে দিতে পারে সন্দেহের মুখে।
এ নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর মাইক্রোবায়োলজিস্ট অধ্যাপক ড. মো.জাকারিয়া মিয়া বলেন,”করোনার নতুন স্ট্রেইন আবিষ্কার কতটুকু প্রভাব ফেলবে তা অবশ্যই ভেবে দেখার বিষয়।সচেতনতা আর পূর্বের যে ধরনের প্রতিকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিলো তা কি এখনও কার্যকর কিনা তা দেখতে হবে। আবিষ্কৃত ভ্যাক্সিন যা পূর্বের করোনা ভাইরাস এর জন্য তৈরি করা হয়েছিলো তা এখন নতুন স্ট্রেইনধারী করোনার উপর আদৌ কার্যকর হবে কিনা তা সন্দেহের মুখে।বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের মত অনুসারে যদি, তারা এই স্ট্রেইম অক্টোবর এ ই পেয়ে থাকেন তবে কেনো অক্টোবর এ বলেন নি,কেনো রিপোর্ট করেন নি?” উনি আরো বলেন,”ইমিউনিটি সিস্টেম এর দিকটি পর্যবেক্ষন করে একটা পরিসংখ্যানে দেখা গেছে সুস্থ পরিবেশের মানুষপরা অসাবধানতার কারণে এতে আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। যেখানে বস্তিবাসী জনতার তুলনামূলক মৃত্যুর হার কম।কারণ বিভিন্ন রোগে আক্রানৃত হতে হতে শক্ত ইমিউনিটি সিস্টেম পেয়ে যাওয়ায় তাদের মোকাবিলা শক্তিটা বেশী।তবে বিশ্বের এবং সর্বপোরি দেশের বর্তমান অবস্থায় আমাদের সর্বোচ্চ সচেতনতাই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ পন্থা।আমাদের উচিত মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্বের দিকটা খেয়াল রাখা।তাহলে করোনার করাল গ্রাস থেকক কিছুটা হলেও বাঁচা সম্ভব হবে।”