নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠান নিখুঁত করতে নানা ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় সংসদ। শপথ অনুষ্ঠান ও নতুন এমপিদের বরণ করতে ৩০ পদক্ষেপ নিয়েছে জাতীয় সংসদ সচিবালয়। কে বা কারা কী কী কাজ করবেন তাও নির্ধারণ করা হয়েছে।
শপথ অনুষ্ঠিত হবে বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টায়। সংসদ সচিবলয়ের আয়োজনে এ শপথ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে ইতিমধ্যেই সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে সংসদ সচিবলয় সূত্রে জানা গেছে।
সচিবালয়ের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করবেন। সংসদের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহেমদ খান শপথ অনুষ্ঠানে পরিচালনা করবেন।
এ বিষয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বুধবার (২ জানুয়ারি) বলেন, নতুন এমপিদের বরণে সংসদ প্রস্তুত। এ জন্য ৩০ ধরনের কাজ করছে সংসদ। কয়েক দিন আগে থেকেই কমিটির মাধ্যমে তাদের বরণের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, শপথের জন্য নির্ধারিত কক্ষটি ফুল ও নানা রঙের বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে। সংসদের অতিরিক্ত সচিব এটি সমন্বয় করছেন। সংসদীয় দলের দলীয় প্রধানদের ড্রাইভওয়ের লিফট গেটে অভ্যর্থনা জানাবেন একদল ব্যক্তি।
শুরুতেই কোরআন তেলায়াতের মধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হবে। শপথ নেয়ার পর তাদের ফুল উপহার দেয়া হবে। এ জন্য সংসদ সচিবের কার্যালয়ের সামনের কনফারেন্স রুমে সংসদ সদস্যদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানেই তাদের চা পরিবেশন করা হবে। সংসদের অতিরিক্ত সচিব এটি সমন্বয় করবেন। শপথ গ্রহণের পর সংসদীয় দলের দলীয় প্রধানদের সিনিয়র সচিবের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে রাখা বইয়ে সংসদ সদস্যদের স্বাক্ষর নেয়া হবে।
এরপর সিনিয়র সচিবের কক্ষে সংসদ সদস্যদের ভ্রমণের রুট ফরম পূরণ ও ভাতাদি গ্রহণের নমুনা গ্রহণ করা হবে।
এ ছাড়াও এমপিদের আইডি কার্ডের জন্য ছবি তোলা হবে। সংসদ সদস্যদের ডিপ্লোমেটিক পাসর্পোটের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পূরণের জন্য দেয়া হবে। সংসদ সদস্যদের মাঝে সংবিধানের কপি বিতরণ করা হবে। যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের জন্য সংসদের ক্যাফেটারিয়ায় আপ্যায়নের ব্যবস্থা থাকবে।
সংসদ ভবনের সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস অধিশাখার এক কর্মকর্তা জানান, বৃহস্পতিবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নিজে এবং পরে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। প্রথমে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য, পরে জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য সংসদ সদস্যদের শপথ পড়াবেন।
উল্লেখ্য, ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২৫৭ আসন। জাতীয় পার্টি পেয়েছে ২২ আসন। বিএনপি পেয়েছে ৫ আসন। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (বাসদ) পেয়েছে ৩ আসন, গণফোরাম ২, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ ২, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ২, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ১, জাতীয় পার্টি (জেপি) ১টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৩টি আসনে জয়ী হয়েছেন।