 
                                            
                                                                                            
                                        
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে রাষ্ট্রীয় পদে আজীবনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করেছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। খবর ডনের।
শুক্রবার পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এই রায় দেন।
পানামা পেপারস মামলায় গত ২৮ জুলাই পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট নওয়াজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রীর পদে অযোগ্য ঘোষণা করে। দেশটির সংবিধানের ধারা ৬২(১)(এফ) অনুযায়ী নওয়াজকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। কিন্তু কতোদিনের জন্য অযোগ্য তা নিয়ে অস্পষ্টতা তৈরি হয়েছিল।
আজ শুক্রবার এই অস্পষ্টতা দূর করে নওয়াজকে আজীবনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।
পাঁচ সদস্যের বেঞ্চের সদস্য বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল বলেন, সংবিধানের ধারা ৬২(১)(এফ) অনুযায়ী কেউ অযোগ্য ঘোষিত হলে তিনি আজীবনের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। অযোগ্য ঘোষিত হওয়ার পর এই ধরনের ব্যক্তি কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না এবং সংসদ সদস্য হতে পারবেন না।
সংবিধানের ধারা ৬২(১)(এফ) অনুযায়ী, দেশটির পার্লামেন্টের সদস্য হতে হলে একজন ব্যক্তিকে অবশ্যই ‘সাদিক এবং আমিন (সৎ ও নিষ্ঠাবান) হতে হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে নওয়াজ অযোগ্য প্রমাণিত হয়েছেন।
এছাড়া একই ধারায় গত ১৫ ডিসেম্বর পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা জাহাঙ্গির তারিনকেও অযোগ্য ঘোষণা করে হাইকোর্ট। আজ শুক্রবার এই ধারার রায় নিয়ে অস্পষ্টতা দূর করায় নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, নওয়াজ এবং তারিন আর কখনও সংসদ সদস্য হতে পারবেন না।
গত ২৮ জুলাই পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট নওয়াজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অযোগ্য ঘোষণা করায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সড়ে দাঁড়ান তিনি। পদত্যাগের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ছোটভাই শাহবাজ শরিফকে নির্বাচন করেন পাকিস্তান মুসলিম লিগের (পিএমএল-নওয়াজ) প্রধান নওয়াজ। তবে শাহবাজ জাতীয় পরিষদের সদস্য না হওয়ায় অন্তবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শহিদ খাকান আব্বাসিকে মনোনয়ন দেন নওয়াজ। এরপর গত ৪ আগস্ট খাকান আব্বাসির নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেয়।