দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশঃ বরিশালের ৬ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

দুর্নীতির অভিযোগে চাকরিচ্যুত সার্ভেয়ার এমএম মোতালেব হোসেনের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় ঢাকা পোস্টের নিজস্ব প্রতিবেদক সৈয়দ মেহেদী হাসান ও বরিশাল অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক রিপন হাওলাদারসহ আটজনের বিরুদ্ধে নালিশি মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার (২২ নভেম্বর) বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম ফারুক মামলার আবেদন গ্রহণ করে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালী মডেল থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাইবার ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী নুরুল ইসলাম কাকন। এজাহারে ছয়জন সাংবাদিক ও দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দেওয়া ভুক্তভোগী দম্পতিকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন, এমএম মোতালেব হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগকারী ইসমাত সায়লা ও তার স্বামী জাহিদ হোসেন সুরুজ মোল্লা। এছাড়া বরিশাল থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিকের স্টাফ রিপোর্টার শিকদার মাহাবুব, বিডি ক্রাইম টোয়েন্টিফোরের প্রকাশক-সম্পাদক রিপন হাওলাদার, বরিশাল ক্রাইম ট্রেস পোর্টালের প্রকাশক ও সম্পাদক অনিক, বিএইচএস টিভি অনলাইন ডটকমের সাব্বির, ঢাকা পোস্ট ডটকমের নিজস্ব প্রতিবেদক সৈয়দ মেহেদী হাসান ও দৈনিক মতবাদ-এর ফটো সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম খান রাসেল।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, পাঁচটি নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ ইসমাত সায়লা তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করে লিখেছেন, ‘এই ভূমিদস্যু মোতালেব আমাকে ও আমার পরিবারকে জিম্মি করে রেখেছে। এর বিচার চাই।’ এমএম মোতালেব হোসেন একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী যে কারণে ইসমাত সায়লার এই লেখায় তার মানসম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। একই সাথে প্রকাশিত সংবাদ ওই নারীর স্বামী তার ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করেন। এজাহারে দাবি করা হয়েছে, নিউজ পোর্টালগুলোতে মোতালেব হোসেনের ছবি তার অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয়।

এর আগে ভুক্তভোগীরা বলছেন, বিরোধপূর্ণ জমির সন্ধান পেলে নিজেই তদবির করে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিয়ে নেন বরিশাল নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবহাওয়া অফিস এলাকার বাসিন্দা এম মোতালেব হোসেন। তিনি সিমেন্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এ্যাংকর সিমেন্ট কোম্পানিতে কিছুদিন সার্ভেয়ার পদে চাকরি করলেও অনিয়মের কারণে চাকরিচ্যুত হন। মোতালেব নামে-বেনামে শত কোটি টাকার সম্পত্তি গড়ে তুলেছেন।

কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম জানিয়েছেন, মামলা তদন্তের নির্দেশনাবলী সম্বলিত কোনো কাগজ এখনো হাতে পাইনি। কাগজ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, জালিয়াতির মাধ্যমে অন্যের জমির কাগজ নিজের নামে করে এবং সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সেই জমি দখলের অভিযোগে এমএম মোতালেবর বিরুদ্ধে চলতি বছরের ৭ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড সিএন্ডবি পুল সংলগ্ন মীরা বাড়ির বাসিন্দা ইসমাত সায়লা। এরপরে তাকে ও তার ভাই বরকত হোসেনকে প্রাণনাশের হুমকি দেন এমএম মোতালেব। এ ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন ইসমাত সায়লা। সর্বশেষ ১৯ নভেম্বর এলাকাবাসী অভিযুক্ত সার্ভেয়ার মোতালেব হোসেনের নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে সদর রোডে মানববন্ধন করেন এবং জেলা প্রশাসক, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসব নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

 

ভূক্তভোগীরা বলছেন, বিরোধপূর্ণ জমির সন্ধান পেলে নিজেই তদবির করে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিয়ে নেন বরিশাল নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবহাওয়া অফিস এলাকার বাসিন্দা এম মোতালেব হোসেন। তিনি সিমেন্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এ্যাংকর সিমেন্ট কোম্পানিতে কিছুদিন সার্ভেয়ার পদে চাকরি করলেও অনিয়মের কারণে চাকরিচ্যুত হন। মোতালেব নামে-বেনামে শত কোটি টাকার সম্পত্তি গড়ে তুলেছেন।