দুর্দান্ত পারফর্ম করে র‌্যাংকিংয়েও এগুলেন মাশরাফি-তামিম

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই এক সিরিজে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন তামিম ইকবাল। বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজাও। সিরিজ শেষ হওয়ার পর আইসিসি থেকে প্রকাশিত র‌্যাংকিংয়ে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের এই দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের বেশ ভালোই উন্নতি হয়েছে। বোলারদের তালিকায় ৮ ধাপ এগিয়েছেন মাশরাফি। ২৭ নম্বর থেকে একলাফে তিনি চলে এসেছেন সেরা ২০-এর মধ্যে। এখন তিনি রয়েছেন ১৯তম স্থানে।

বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে অবশ্য এগিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান। তিনিও এগিয়েছেন ২ ধাপ। ১৯তম স্থান থেকে তিনি চলে এসেছেন ১৭তম স্থানে। ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রেটিং পয়েন্ট অর্জন করলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার অর্জন ৬১০ পয়েন্ট।

ব্যাটসম্যানদের তালিকায় ৪ ধাপ এগুলেন তামিম ইকবাল। ১৭তম স্থান থেকে তিনি চলে এলেন ১৩তম স্থানে। ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৭৩৭ পয়েন্ট অর্জন করেছেন তামিম। সেরা ২০ জনের মধ্যে অবশ্য বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটসম্যানের ঠাঁই মেলেনি। তবে সিরিজে দারুণ ব্যাটিং করার কারণে ৩ ধাপ এগিয়েছেন সাকিব আল হাসান। এখন রয়েছেন ২৬তম স্থানে। যদিও বোলিংয়ে তিন ধাপ পিছিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে অলরাউন্ডারদের তালিাকয় শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন সাকিব।

ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মাহমুদউল্লাহ এগিয়েছেন ৪ ধাপ। তিনি রয়েছেন ৩৮তম স্থানে। শেষ ম্যাচে ৪৯ বলে অপরাজিত ৬৭ রান করার ফলেই র‌্যাংকিংয়ে এভাবে এগুতে পারলেন তিনি। তবে ইন্টারেস্টিং বিষয় হচ্ছে, মুশফিকুর রহীম পিছিয়ে গেছেন ব্যাটসম্যানদের র‌্যাংকিংয়ে। তিনি এখন রয়েছেন ২২তম স্থানে। প্রথম ম্যাচে দ্রুত ৩০ রান এবং পরের ম্যাচে ৬৭ বলে ৬৮ রান করার পরও র‌্যাংকিংয়ে পেছাতে হলো তাকে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২টি সেঞ্চুরিসহ মোট ২৮৭ রান করেছেন তামিম ইকবাল। যে দুটিতে সেঞ্চুরি করেছেন তিনি, দুটিতেই এসেছে জয় এবং দুই ম্যাচেই জিতেছেন সেরার পুরস্কার। যেটিতে সেঞ্চুরি করতে পারেননি, সেটিতেও করেছেন ৫৪ রান। যদিও ওই ম্যাচ জেতা হয়নি বাংলাদেশের।

বোলারদের মধ্যে এই সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী মাশরাফি বিন মর্তুজা। মোট ৭ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। এক ম্যাচে তো নিয়েছেন ৪ উইকেট। এছাড়া বাংলাদেশের আরও দুই পেসার রুবেল হোসেন এবং মোস্তাফিজুর রহমান নিয়েছেন ৫টি করে উইকেট।

ব্যাটসম্যানদের তালিকায় সবার শীর্ষে রয়েছেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। এক ধাপ এগিয়ে পাকিস্তানের বাবর আজম উঠে গেছেন দুই নম্বরে। এক ধাপ পিছিয়ে ইংল্যান্ডের জো রুট তিন নম্বরে। পাকিস্তানের ফাখর জামান এগিয়েছেন ৮ ধাপ। তিনি এখন রয়েছেন ১৬তম স্থানে। বোলারদের তালিাকয় শীর্ষেই রইলেন ভারতের জসপ্রিত বুমরাহ।

ক্যাম্পাসজাতীয়ঢাকাপ্রচ্ছদ এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কমলাপুর রেলস্টেশনের ঘাস নিয়ে লাইভ করার পর এবার ট্রেনে ওঠার সময় নারী ও বৃদ্ধাদের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফের ফেসবুক লাইভ করলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে যারা রেলে চলাফেরা করেন তাদের প্রতি কি একটু সহায় হবেন- এমন আহ্বান জানান তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেউ যদি বউ-বাচ্চা, বৃদ্ধা মা-বাবাকে নিয়ে ট্রেনে উঠতে চান তা হলে বউ থাকবে কই আর মা-বাবা থাকবে কই। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফেসবুকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। লাইভে এসে প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে ওঠার সিঁড়ির দূরত্ব দেখিয়ে সুমন বলেন, ‘এই ট্রেনটাকে মিটার গেজ (পরে সংশোধন করে বলেন ব্রডগেজ) বলা হয়। আমার প্রশ্ন হলো-প্ল্যাটফ্রম থেকে দূরত্ব বা উচ্চতা কত? ব্রিটিশ আমলের ট্রেনগুলো ছিল এমন। আপনারা (রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ) নতুন ট্রেন আনলেন কিন্তু প্ল্যাটফর্ম এখনো পুরনো।’ রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত লোকদের দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখেন সবাই, প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের উচ্চতা দোতলার সমান। কোনো স্টেশনে ট্রেনটি তিন মিনিট থামে। তিন মিনিটে ৫০ জন মানুষ প্রায় দুই তলার সমান উচ্চতায় ওঠা কি সম্ভব?’ রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী, ট্রেন আপনি অনেক উঁচু বানিয়ে দিছেন। আর প্ল্যাটফর্ম এখানে বিট্রিশ আমলের। আমি কমলাপুর সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে বলছি। আর গ্রামের স্টেশনগুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ। সেখানে ট্রেনে উঠতে তো রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। বউ বাচ্চা নিয়ে ওঠা একটা বে-ইজ্জতের কারবার।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুনিয়া এগোচ্ছে, সব কিছু এগোচ্ছে। রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবেন না। তবে ব্রেইনে আনেন পরিবর্তন করার। আপনারা বউ-বাচ্চা লইয়া ট্রেনে যাতায়াত করবেন কি-না জানি না। তবে, এই প্ল্যাটফর্ম ট্রেনের সমান করতে কোটি কোটি টাকার দরকার পড়বে না। আশা করি রেলমন্ত্রীসহ সকলেই এর প্রতি সদয় হবেন।’ এর আগে (৩০ মে) ব্যারিস্টার সুমন স্টেশনের সামনে রেললাইনের ওপর বেড়ে ওঠা ঘাস কেটে পরিচ্ছন্ন করার অনুরোধ জানিয়ে তার নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ দেন। এর পরদিনই (শুক্রবার) সেসব ঘাস কেটে পরিষ্কার করে ফেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর জন্য ট্রেনে তুলে দিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেখানে তিনি দেখেন, রেললাইনের ওপর বড় বড় ঘাস জন্মেছে। যা কাটার জন্য কারো সময় নেই। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলের সময় নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। মোটামুটি ভালোই চলতেছে। এজন্য রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’ ওই লাইভে তিনি আরও বলেন, এটা দেশের সবচেয়ে বড় রেলস্টেশন। এটা কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন। এ সময় তিনি এক হাত লম্বা লম্বা ঘাস দেখিয়ে বলেন, ‘কিছু লোক লাগিয়ে ঘাসগুলো পরিষ্কার করলে স্টেশনটা অনেক সুন্দর হয়ে যেত।’
৬ years ago