দিল্লির নতুন অধিনায়কের স্মরণীয় জয়

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

গৌতম গম্ভীরের বদলে নেতৃত্ব দেয়া দিল্লির নতুন অধিনায়ক শ্রেয়াস আয়ারের নৈপুণ্যে স্মরণীয় জয় পেয়েছে দিল্লি ডেয়াডেভিলস। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ২১৯ রান সংগ্রহের পর এ জয়টা খুবই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু মাঝপথে আন্দ্রে রাসেলের টর্নেডো ব্যাটিংয়ে এক পর্যায়ে দিল্লি শিবিরে আতংক দেখা দেয়া।

রাসেল ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। তার ৩০ বলে খেলা ইনিংসটি ছিল চারটি ছক্কা ও ৩টি ছক্কায় সাজানো। কিন্তু ১৮তম ওভারে দলীয় ১৪৪ রানের মাথায় রাসেল ফিরে যাওয়ার পর ম্যাচ এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে যায় দিল্লির। কলকাতার পক্ষে সাবমান গিল ৩৭ ও সুনীল নারীন ২৬ রান করেন। এছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান তেমন রান করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৪ রান করতে সমর্থ হয় কার্তিক বাহিনী। দিল্লি জেতে ৫৫ রানে।

এ জয় শুধু দিল্লির নয়, শ্রেয়াস আয়ারেরও। অধিনায়কত্বের প্রথম ম্যাচেই বীরোচিত ইনিংস খেলে দিল্লির সমর্থকদের বিশেষ আশাবাদী করে তুলেছেন তিনি।

এ ম্যাচের আগে গত ছয় ম্যাচে মাত্র একটি জয় পেয়েছিল গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বাধীন দল। ব্যর্থতার দায়ে দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন গৌতম গম্ভীর। তার এ সরে দাঁড়ানো পর থেকে আলোচনায় চলে আসেন নতুন অধিনায়ক শ্রেয়াস আয়ার।

প্রথম ম্যাচেই ছক্কার বন্যা বইয়ে ৯৩ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে দলকে বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করে দেন তিনি। ৪০ বলে তার ইনিংসটি ছিল ১০টি ছক্কা ও তিনটি চার দিয়ে সাজানো।

নির্ধারিত ২০ ওভারে তিন উইকেটে ২১৯ রান সংগ্রহ করে শ্রেয়াস আয়ার বাহিনী। এ রানের পথে তিনি পৃথ্বী সাহার সঙ্গে ২৯ বলে অর্ধশত রানের জুটি গড়েন।

১৪তম ওভারে ৪৪ বলে ৬২ রান করে পৃথ্বী সাহা চাওলার বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান। এ সময় দলীয় রান ছিল ১২৭। পরে উইকেটে আসেন রিশাভ প্যান্ট। তিনি উইকেটে এসে তেমন সুবিধা করতে পারেননি। দলীয় মাত্র ২ রান যোগ হওয়ার পর প্যান্ট শূন্য রানে ফিরে যান আন্দ্রে রাসেলের অসাধারণ ডেলিভারিতে।

এরপর উইকেটে আসেন অস্ট্রেলিয় অলরাউন্ডার গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল।এরপর বাকিটা ইতিহাস! উইকেটের চারপাশে চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে এ দুই ব্যাটসম্যান তৃতীয় উইকেট জুটিতে (মাত্র ৩২ বলে) ৭৩ রান নিয়ে দলকে পাহাড়সম রানের দিকে নিয়ে যান। দলীয় ২০২ রানের মাথায় গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল শিবাম মাভির অসাধারণ থ্রোতে রানআউটের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যাওয়ার আগে ১৮ বলে ২৭ রান করেন। তার ইনিংসটি ছিল একটি চার ও দুটি ছক্কা দিয়ে সাজানো।