দক্ষিণাঞ্চলে শীতের আগমনী বার্তা

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

শামীম আহমেদ ॥ ভোরে ঠান্ডা হাওয়া, সকালে মিষ্টি রোদ আর সন্ধ্যার পরে হালকা কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। বাজারে ওঠা শীতের সবজি যেন হয়ে উঠেছে এর বার্তাবাহক। দুর্বা ঘাসে কিংবা ধানের কচি ডগায় মুক্তার মতো আলো ছড়িয়ে ভোরের শিশির জানান দিচ্ছে শীত আসছে।

ভোর রাতে পড়তে শুরু করেছে হালকা কুয়াশা। সেই সঙ্গে অনুভূত হচ্ছে মৃদু ঠা-া শীত। প্রতি বছর অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহে এ জেলায় শীতের আগমন ঘটলেও এবার কার্তিক মাসের মাঝামাঝিতেই শুরু হয়েছে শীত। শনিবার ভোরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢেকে রয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের গ্রামগঞ্জ ও শহরের রাস্তাঘাট। সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনগুলো হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।

ভোরে অনেকেই নিজ নিজ গন্তব্যে বের হয়েছেন হালকা গরম কাপড় গায়ে মুঁড়িয়ে। আর ঘাসের ওপর ভোরের সূর্য হালকা লালচে রংয়ের ঝিলিক দিচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, এ বছর আগাম শীত অনুভব হচ্ছে। দিনের বেলা কিছুটা গরম থাকলেও সন্ধ্যা নামার পর থেকেই হালকা কুয়াশা পড়তে শুরু করে। রাতভর হালকা বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরে।

বিশেষ করে মাঠে ঘাসের ডগায় ও ধানের শীষে জমতে দেখা গেছে বিন্দু বিন্দু শিশির। গ্রামগুলোতে দেখা গেছে, পুরোনো কাঁথা নতুন করে সেলাই করে নিতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন নারীরা। বাড়ির পাশে গাছের নিচে বসে রং-বেরঙের সুতো দিয়ে তারা তৈরি করছেন কাঁথা। বরিশালে বাকেরগঞ্জের কবির নামে এক ব্যক্তি বলেন, ভোরে দুর্বা ঘাসে শিশির দেখা যাচ্ছে।

মাঠে মাঠে ফসলের ক্ষেত ভোরের হালকা কুয়াশায় ঢেকে যায়। প্রকৃতি জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। উজিরপুর থেকে বরিশালে আসা খালেক বলেন, শীতের সঙ্গে সঙ্গে করোনার প্রকোপও বাড়তে পারে। তাই আমাদের অন্য বছরের থেকে এবার বেশি সতর্ক থাকতে হবে। এদিকে, গ্রাম ও শহরের হাট-বাজারগুলোতে উঠতে শুরু করেছে শীতের সবজি ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, শালগম, ওলকপি, গাজর, টমেটো।

সবজি চাষি মালেক বলেন, হালকা শীতের কারণে ফসলে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস আক্রমণ শুরু করে। এতে ফসলে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়। উৎপাদন খরচও বেড়ে যায়। বরিশাল জেলা কৃষি সম্প্রারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, কৃষি বিভাগের মাঠপর্যায়ে কর্মীরা কৃষকদের কারিগরি সহায়তাসহ বিভিন্ন রকমের পরামর্শ দিচ্ছেন।

বরিশাল আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন ধরে সকালে হালকা ঠান্ডা বাতাস হচ্ছে। কার্তিক মাসের দিন যত যাচ্ছে, শীতের আগমন তত উপলব্ধি হচ্ছে। শীতের তীব্রতা কম বা বেশি হওয়ার বিষয়টি আরও মাসখানেক পরে নির্ণয় করা যাবে। এখন কিছু বলা যাচ্ছেনা।