কক্সবাজারের টেকনাফে তিন নারীর পেটের ভেতর থেকে ৩ হাজার ১৫০ পিস ইয়াবা জব্দ করেছে বিজিবি। এ ঘটনায় ওই তিন নারী ইয়াবা পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে। সোমবার রাতে তাদের আটক করা হলেও মঙ্গলবার দুপুরে তাদের পেট থেকে এসব ইয়াবা বের করা সম্ভব হয়।
টেকনাফস্থ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটকরা হলেন- টেকনাফের হ্নীলা আলীখালী এলাকার জাফর আহম্মদের স্ত্রী নূর হাওয়া (৩৫), মৃত মো. ছিদ্দিকের স্ত্রী জরিনা খাতুন (৩৫) ও উত্তর আলীখালী এলাকার জুবাইর হোসনের স্ত্রী সেতারা (৩০)। তারা বিশেষ কায়দায় পেটের ভেতর ৩ হাজার ১৫০ পিস ইয়াবা নিয়ে পাচার করছিল।
টেকনাফস্থ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান জানান, সোমবার রাতে টেকনাফের হোয়াইক্যং বিওপির নায়েব সুবেদার মো. শাদেক আলীর নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহলদল চেকপোস্টে যানবাহন তল্লাশি করছিলেন। এ সময় টেকনাফ থেকে কক্সবাজারগামী পালকী পরিবহনের একটি বাস চেকপোস্টে পৌঁছালে তল্লাশিকালে কয়েকজন যাত্রীকে সন্দেহ হলে নিচে নামিয়ে বিওপিতে কর্মরত বিজিবি নারী সদস্যদের মাধ্যমে তল্লাশি করা হয়। এতে আটক তিন নারীর পেটে ইয়াবা ট্যাবলেট থাকার সন্দেহ হয়। পরে এসব নারীদের টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এক্স-রে করে কালো টেপ মোড়ানো অবস্থায় পেটের ভেতরে ইয়াবা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হলে আটক নারীরা তাদের পেটে ইয়াবা থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে বিশেষ কায়দায় তাদের পেট থেকে ইয়াবাগুলো বের করা হয়।
তিনি আরও বলেন, জব্দ ইয়াবাসহ আটক নারীদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করে টেকনাফ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
অপরদিকে কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন ৩৪ বিজিবির মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্টের সদস্যরা ইয়াবাসহ মমতাজ বেগমকে (৫০) নামে এক বৃদ্ধাকে আটক করেছে। বালুখালী থেকে হেঁটে কক্সবাজার যাওয়ার সময় চেকপোস্টে তাকে তল্লাশি করে এক হাজার ১২০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।
আটক মমতাজ বেগম কক্সবাজার সদর উপজেলার ইসলামপুর নাপিতখালীর মৃত খলিল আহমদের স্ত্রী। তার বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে তাকে রামু থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ৩৪ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত উপ-অধিনায়ক আশরাফ উল্লাহ রনি।