#

ডায়াবেটিস এমন একটি অসুখ যা মাত্রা অতিক্রম করলেই শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার গ্রহণে একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হয়। খাদ্যের নিয়ম মেনে চলার প্রধান উদ্দেশ্য ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা ও স্বাস্থ্য ভালো রাখা। এর জন্য প্রয়োজন কঠোর নিয়মানুবর্তিতা। কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার আছে যা ডায়াবেটিস রোগীকে সুস্থ্য থাকতে সহায়তা করে। চলুন জেনে নেয়া যাক-

ভাতের তুলনায় রুটির সুবিধা হলো এতে ডায়েটারি ফাইবার বেশি থাকে। রুটি দুইবেলা হলে ভালো। রুটি খেতে কষ্ট হলে দুইবেলা ভাত কিংবা একবেলা রুটি খাওয়া যাবে। খেয়াল রাখতে হবে ভাতের পরিমাণ যেন নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে বেশি না হয়।

প্রাণিজ চর্বির পরিমাণ কমিয়ে উদ্ভিজ চর্বির পরিমাণ বাড়ানো উচিত। উদ্ভিজ্জ তেল অর্থাৎ সয়াবিন, সরিষার তেল ইত্যাদি এবং সব ধরনের মাছ খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
খাদ্য তালিকায় ভাত, রুটি, মিষ্টি ফল ইত্যাদির পরিমাণ কমিয়ে ডাল, শাক, সবজি, টক জাতীয় ফল ইত্যাদি আঁশবহুল খাবার বেশি করে খেতে হবে।

রসালো ফলে শর্করার পরিমাণ বেশি এবং টক ফলে কম। আম, কাঁঠাল, কলা, লিচু, আঙ্গুর, তরমুজ, পেঁপে, আনারস এসব ফল সীমিত পরিমাণে খেতে হবে।

যেসব ফলে প্রচুর পরিমাণে শাঁস বা খাদ্য আঁশ আছে সেগুলো খাওয়া ভালো। আঁশ জাতীয় খাদ্য রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। আঁশযুক্ত খাদ্য যেমন তরিতরকারি, বরবটি, শিম, ঢেঁকি ছাঁটা চাল, গমের তৈরি রুটি, ফল-মূল গ্রহণ করলে রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়। এর সঙ্গে শরীরে ক্ষতিকর লিপিড এবং কলেস্টোরেলের মাত্রাও কমে যায়।

দুধ খেতে হলে ফ্যাট বা চর্বি ছাড়া খেতে হবে। ডিমের হলুদ অংশে কলেস্টোরেল বেশি থাকে, কুসুম বাদ দিয়ে ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। তবে রক্তে কোলেস্টেরল স্বাভাবিক মাত্রায় থাকলে সপ্তাহে ২-১ দিন কুসুমসহ ডিম খাওয়া যায়।

নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খেতে হবে এবং কোনো বেলার খাবার খাওয়া বাদ না দেয়া যাবে না। আজ কম, কাল বেশি এভাবে না খাবেন না।

ওজন স্বাভাবিক রাখতে হবে। খাবার নিয়ন্ত্রণে রেখে শরীরের ওজন বেশি থাকলে কমানো বা কম থাকলে বাড়িয়ে স্বাভাবিক করা এবং স্বাভাবিক থাকলে সেটা বজায় রাখতে হবে।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
এখানে আপনার নাম লিখুন