ঝালকাঠিতে তেলবাহী জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একদিনে দগ্ধ আরও পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন, রিপন শিকদার (৪০), মেহেদী হাসান (২৬) মোশারফ হোসেন রনি (২৭), শহীদ তালুকদার(৩৫) ও ইমাম উদ্দিন (২১)।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মৃত্যুবরণ করেন।
রনির বাড়ি ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার দক্ষিন মন্দিরা গ্রামে। রনির বাবার নাম সিদ্দিক আহমেদ। তিনি জাহাজে কাজ করতেন। মেহেদী চাদপুর জেলার উত্তর মতলব থানার বেটালিয়া গ্রামের আহমদউল্লাহ ছেলে।
শহিদের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার মাইচকান্দি গ্রামে। শহিদের বাবার নাম বাচ্চু তালুকদার। রিপন শিকদারের বাড়ি নড়াইল জেলার লোহগড়া উপজেলার পাংখারচড় গ্রামে। বাবার নাম বাচ্চু শিকদার।
তাদের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের ওই বিভাগের চিকিৎসক সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, ঝালকাঠিতে জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাতজন দগ্ধ রোগী হাসপাতালে এসেছিলেন। আজ ভোর ৫টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টার মধ্যে পাঁচজন মারা গেছেন।
ভোর ৫টার দিকে মারা যান মেহেদী হাসান, তার শরীরের শরীরে ৫৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান মোশারফ হোসেন রনি, তার শরীরের ৫৪ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
একই সময়ে মারা যান রিপন শিকদার, তার শরীরেরও ৫৪ শতাংশ দগ্ধ ছিল। শরীরে ৭০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে মারা যান শহিদ তালুকদার। আশিক ইসলাম শরীরের ৬৬ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে সন্ধ্যার দিকে মারা গেছেন। এছাড়া ইমাম উদ্দিন (২১) ও রুবেল হোসেন (৩০) নামে দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১২ নভেম্বর) সকাল সোয়া ৮টার দিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অবস্থানকারী তেলবাহী জাহাজে তেলের পাম্প বিস্ফোরিত হয়ে আগুন লাগে। এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে একজন মারা যান।
দগ্ধ সাত জনকে উদ্ধার করে প্রথমে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।