ঝালকাঠিতে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এদের মধ্যে শিশু-বৃদ্ধের সংখ্যা বেশি। প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে মানুষ। এতে করে অভিভাবকেরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, দিনে গরম ও রাতে ঠান্ডা হওয়ায় শিশুরা নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। সদর হাসপাতালে শিশু রোগীদের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে গেছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, প্রতিদিন হাসপাতালের বহির্বিভাগে শতাধিক শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রোববার সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগের চিকিৎসকের কক্ষের সামনে রোগীদের ভিড় দেখা গেছে।
গত সপ্তাহে সদর হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত ১১ শিশু ভর্তি ছিল। এখন সিট ম্যানেজ করতে না পারে ফ্লোরে শুয়েও চিকিৎসা দিতে হচ্ছে রোগীদের।
হাসপাতালে আসা শারমিন খাতুন নামের এক নারী জানান, শ্বাসকষ্ট হওয়ায় সোমবার আট মাস বয়সী ছেলে আরিয়ানকে হাসপাতালে ভর্তি করি। চিকিৎসা নেওয়ার পর ছেলের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
রুপসিয়া গ্রামের মা হালিমা খাতুন বলেন, সর্দি–কাশিতে আক্রান্ত এক বছর বয়সের শিশুকে দুদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করি। এখনো কোনো উন্নতি হয়নি।
উপজেলার আগরবাড়ি এলাকার আমিনুর রহমান জানান, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়া শুক্রবার সকালে তিনমাস বয়সী ছেলে সিয়াম হোসেনকে হাসপাতালে ভর্তি করি। শনিবার বিকেল ৪টার দিকে ছেলের অবস্থার উন্নতি হয়েছে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আবুল বাশার বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ায় শিশুরা সর্দি–কাশি, জ্বর ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালে প্রতিদিন বহির্বিভাগে শতাধিক রোগী চিকিৎসা দিচ্ছেন। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধরাই আক্রান্ত হচ্ছে বেশি।
সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মেহেদী হাসান সানি বলেন, প্রতিবছর সাধারণত আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় বৃদ্ধ-শিশুরা সর্দি–কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। এজন্য বিশেষ করে এ সময় তাদের প্রতি বেশি যত্নবান হতে হবে।