জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে বুয়েট শিক্ষক নিখিল রঞ্জন

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে রাজধানীর বাড্ডা থানার দায়ের করা মামলায় বুয়েট শিক্ষক অধ্যাপক ড. নিখিল রঞ্জন ধরের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

 

গত ৫ মার্চ নিখিল রঞ্জন ধর আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত প্রথমে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ ঠিক। এর ২০ মিনিট পরই তার অর্ন্তবর্তী জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

আজ জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আত্মসমর্পণ করে জামিন স্থায়ী করার আবেদন করেন নিখিল রঞ্জন ধর। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিন, মামলাটি চার্জ শুনানির জন্য ধার্য ছিল। আসামিপক্ষ চার্জ শুনানি পেছাতে সময় আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৫ এপ্রিল চার্জ শুনানির তারিখ ধার্য করেন।

 

গত বছরের ১০ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক শামীম আহমেদ অধ্যাপক নিখিলকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করে ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। সেখানে তদন্ত কর্মকর্তা বলেছিলেন, আদালতে দেওয়া আসামি দেলোয়ারের জবানবন্দি অনুযায়ী ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আসামি ড. নিখিল রঞ্জন ধরের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনার বিষয়ে জড়িত থাকার কোনো তথ্য না পাওয়া যায়নি। এজন্য তার বিরুদ্ধে মামলার দায় প্রমাণ করা সম্ভব হয় নাই।

এরপর উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত ৩১ জানুয়ারি নিখিল রঞ্জন ধরকে অভিযুক্ত করে ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন।

অপর আসামিরা হলেন- আহ্ছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি টেকনিশিয়ান মুক্তারুজ্জামান রয়েল, অফিস সহায়ক (পিয়ন) দেলোয়ার হোসেন, কর্মী রবিউল আউয়াল, জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখার কর্মকর্তা শামসুল হক শ্যামল, রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার জানে-আলম মিলন, পূবালী ব্যাংকের ইমামগঞ্জ শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল জাবের ওরফে জাহিদ, পারভেজ মিয়া, মিজানুর রহমান মিজান, মোবিন উদ্দিন, সোহেল রানা, পরীক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম স্বপন, রাশেদ আহমেদ বাবলু, জাহাঙ্গীর আলম জাহিদ ও রবিউল ইসলাম রবি।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৬ নভেম্বর দুপুর ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এক হাজার ৫১১টি পদের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশ নেন এক লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন। বাংলাদেশ ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় পাঁচ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগে এ পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষার পর চাকরি প্রত্যাশীদের অনেকেই প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তোলেন।

এ ঘটনায় ১০ নভেম্বর তেজগাঁও জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর সুকান্ত বিশ্বাস বাড্ডা থানায় মামলা করেন।