জাপানের পশ্চিমাঞ্চলীয় ওসাকা শহরে ঐতিহাসিক একটি স্থানে খননকাজ পরিচালনা করে দেড় হাজারের বেশি মানুষের কঙ্কাল খুঁজে পেয়েছেন দেশটির প্রত্নতাত্ত্বিকরা। শহরটির কর্মকর্তারা বলেছেন, এসব কঙ্কাল দেড়শ থেকে ১৬০ বছর আগের বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাপানে ১৮৫০ থেকে ১৮৬০ এর দশকে সাবেক ইদো এবং মেইজি যুগে বেশ কিছু ঐতিহাসিক কবরস্থান ছিল। প্রত্নতাত্ত্বিকরা যে কবরস্থানটির সন্ধান পেয়েছেন, সেটি সেগুলোর একটি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেশটির তৎকালীন সম্রাট মেইজির ৪৫ বছরের শাসনকালকে মেইজি যুগ হিসেবে অভিহিত করা হয়। ১৮৬০ থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত মেইজি যুগের এই সময়কালকে জাপানের আধুনিকায়নের যুগ হিসেবেও মনে করা হয়।
এই সময়ে বিশ্ব ইতিহাসে জাপান প্রথম সারির ক্ষমতাধর রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯১২ সালে সম্রাট মেইজির মৃত্যুর পর সম্রাট তাইশো সিংহাসনে আরোহন করলে এই যুগের অবসান এবং তাইশো যুগের সূচনা হয়।
গবেষকরা বলছেন, স্থানটিতে ৩৫০টি ছোট কবর পাওয়া গেছে। এতে মানুষের কঙ্কালের পাশাপাশি চারটি শুকর ছানা, ঘোড়া ও বিড়ালের কঙ্কালও মিলেছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে এই কবরস্থানের সন্ধান পাওয়ার তথ্য জানান ওসাকার কর্মকর্তারা।
ওসাকা সিটি কালচারাল প্রোপার্টি এসোসিয়েশন বলছে, অনেকেই মনে করেন- ওসাকা ক্যাসেল টাউনের আশপাশের বাসিন্দাদের ওই স্থানে কবর দেয়া হয়েছিল; যাদের বেশিরভাগই ৩০ বছরের নিচের অথবা শিশু। এসব কঙ্কালের অনেকের হাত-পায়ের হাড়ে রোগের উপসর্গ দেখা গেছে।
সংস্থাটি বলছে, কিছু কবরস্থানে আরও অনেক কঙ্কাল পাওয়া গেছে। কোনও মহামারিতে মৃত্যু হওয়ায় একসঙ্গে তাদের সবাইকে গণকবর দেয়া হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র: রয়টার্স, ফক্স নিউজ।