ছেলের মৃত্যুর চারদিন পর শোকাতুর মায়ের মৃত্যু

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলায় কলেজছাত্র ছেলে আল-আমিন শেখ মারা যাওয়ার চারদিন পর মৃত্যু হয়েছে শোকাতুর মা মিনা বেগমের।

বৃহস্পতিবার (২ জুন) দুপুরে উপজেলার দারিয়ালা পূর্বপাড়া গ্রামে নিজ বাড়ির সামনে রাস্তায় পড়ে তার মৃত্যু হয়। তিনি ওই গ্রামের মো. ফুল মিয়া শেখের স্ত্রী।

মোল্লাহাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মতিয়ার রহমান বলেন, মিনা বেগম নামে এক নারী মাথা ঘুরে রাস্তায় পড়ে যান। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাকে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক জব্বার ফারুকী বলেন, মিনা বেগম নামে এক নারীকে তার স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে আসে। তবে এখানে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।

স্থানীয়রা জানান, মিনা বেগমের ছেলে আল-আমিন শেখ মোল্লাহাট খলিলুর রহমান ডিগ্রি কলেজের ২০২২ শিক্ষাবর্ষের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। তিনি গত শনিবার (২৮ মে) রাতে গ্রামের পুকুরে গোসল করতে যান। এরপর তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।

পরেরদিন সকালে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় ওই ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে এলাকাবাসী। এরপর থেকে মা মিনা বেগম ছেলের শোকে পাগলপ্রায় ছিলেন। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে তিনি খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেন এবং দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতেন।

স্থানীয় গাংনী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রবিউল আলম বলেন, একমাত্র ছেলে আল-আমিনকে হারিয়ে পাগলপ্রায় হয়ে পড়েছিলেন মিনা বেগম।

ছেলের মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির সামনে বের হয়ে তার এই মৃত্যুতে পরিবার ও গ্রামবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

করোনা ভাইরাসজাতীয়প্রচ্ছদবরিশাল এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কমলাপুর রেলস্টেশনের ঘাস নিয়ে লাইভ করার পর এবার ট্রেনে ওঠার সময় নারী ও বৃদ্ধাদের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফের ফেসবুক লাইভ করলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে যারা রেলে চলাফেরা করেন তাদের প্রতি কি একটু সহায় হবেন- এমন আহ্বান জানান তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেউ যদি বউ-বাচ্চা, বৃদ্ধা মা-বাবাকে নিয়ে ট্রেনে উঠতে চান তা হলে বউ থাকবে কই আর মা-বাবা থাকবে কই। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফেসবুকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। লাইভে এসে প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে ওঠার সিঁড়ির দূরত্ব দেখিয়ে সুমন বলেন, ‘এই ট্রেনটাকে মিটার গেজ (পরে সংশোধন করে বলেন ব্রডগেজ) বলা হয়। আমার প্রশ্ন হলো-প্ল্যাটফ্রম থেকে দূরত্ব বা উচ্চতা কত? ব্রিটিশ আমলের ট্রেনগুলো ছিল এমন। আপনারা (রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ) নতুন ট্রেন আনলেন কিন্তু প্ল্যাটফর্ম এখনো পুরনো।’ রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত লোকদের দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখেন সবাই, প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের উচ্চতা দোতলার সমান। কোনো স্টেশনে ট্রেনটি তিন মিনিট থামে। তিন মিনিটে ৫০ জন মানুষ প্রায় দুই তলার সমান উচ্চতায় ওঠা কি সম্ভব?’ রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী, ট্রেন আপনি অনেক উঁচু বানিয়ে দিছেন। আর প্ল্যাটফর্ম এখানে বিট্রিশ আমলের। আমি কমলাপুর সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে বলছি। আর গ্রামের স্টেশনগুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ। সেখানে ট্রেনে উঠতে তো রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। বউ বাচ্চা নিয়ে ওঠা একটা বে-ইজ্জতের কারবার।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুনিয়া এগোচ্ছে, সব কিছু এগোচ্ছে। রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবেন না। তবে ব্রেইনে আনেন পরিবর্তন করার। আপনারা বউ-বাচ্চা লইয়া ট্রেনে যাতায়াত করবেন কি-না জানি না। তবে, এই প্ল্যাটফর্ম ট্রেনের সমান করতে কোটি কোটি টাকার দরকার পড়বে না। আশা করি রেলমন্ত্রীসহ সকলেই এর প্রতি সদয় হবেন।’ এর আগে (৩০ মে) ব্যারিস্টার সুমন স্টেশনের সামনে রেললাইনের ওপর বেড়ে ওঠা ঘাস কেটে পরিচ্ছন্ন করার অনুরোধ জানিয়ে তার নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ দেন। এর পরদিনই (শুক্রবার) সেসব ঘাস কেটে পরিষ্কার করে ফেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর জন্য ট্রেনে তুলে দিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেখানে তিনি দেখেন, রেললাইনের ওপর বড় বড় ঘাস জন্মেছে। যা কাটার জন্য কারো সময় নেই। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলের সময় নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। মোটামুটি ভালোই চলতেছে। এজন্য রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’ ওই লাইভে তিনি আরও বলেন, এটা দেশের সবচেয়ে বড় রেলস্টেশন। এটা কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন। এ সময় তিনি এক হাত লম্বা লম্বা ঘাস দেখিয়ে বলেন, ‘কিছু লোক লাগিয়ে ঘাসগুলো পরিষ্কার করলে স্টেশনটা অনেক সুন্দর হয়ে যেত।’
৬ years ago