চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের (৩২) আত্মহত্যার ঘটনায় দায়ের মামলায় অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। অভিযোগপত্রে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুসহ পাঁচজনের প্ররোচনায় শিরায় বিষপ্রয়োগে আত্মহত্যা করেছেন চিকিৎসক আকাশ।
বাকি অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- মিতুর বাবা আনিসুল হক চৌধুরী, মা মোছাম্মৎ শামীমা শেলী, বোন সানজিলা হক চৌধুরী ও মিতুর কথিত বন্ধু চিকিৎসক মাহবুবুল আলম।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) অভিযোগপত্রটি আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. কামরুজ্জামান।
তিনি বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চিকিৎসক আকাশকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার সাক্ষ্যপ্রমাণ পেয়ে পাঁচজনকে অভিযোগপত্রে আসামি করেছেন। গত সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অভিযোগপত্রটি প্রসিকিউশন শাখায় জমা দেয়া হয়। মঙ্গলবারের সরকারি ছুটি শেষে আজ সেটি সংশ্লিষ্ট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জানুয়ারি ভোরে নগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকায় নিজ বাসায় শরীরে বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে আত্মহত্যা করেন চিকিৎসক আকাশ। এর আগে ফেসবুকে দুটি স্ট্যাটাসে তিনি মৃত্যুর জন্য স্ত্রী মিতুকে দায়ী এবং বিস্তারিত ঘটনার আবেগঘন বর্ণনা দেন।
পরে ১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার দিকে নগরীর নন্দনকানন এলাকায় খালাত ভাইয়ের বাসা থেকে পুলিশ মিতুকে গ্রেফতার করে। ওই দিন বিকেলেই চান্দগাঁও থানায় মৃত আকাশের মা জোবেদা খানম বাদী হয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে তানজিলা হক চৌধুরী মিতু, তার বাবা-মা, এক বোন ও দুই প্রেমিকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আকাশ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বাংলাবাজার বরকল এলাকার মৃত আব্দুস সবুরের ছেলে। তিনি এমবিবিএস পাস শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। সঙ্গে এফসিপিএস পড়ছিলেন।