বরিশালের গৌরনদী উপজেলার চাঁদশী ঈশ্বর চন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুই দল ছাত্রদের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ এই সংঘর্ষে ২ শিক্ষক এবং ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় সহকারী শিক্ষক কাজী মো. মেজবাউদ্দিনকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। হামলার ঘটনায় বহিরাগত মুলাদী উপজেলার হৃদয় হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি আফজাল হোসেন জানান, উপজেলার মধ্য চাঁদশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে চাঁদশী ঈশ্বর চন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্র ফাহিম সরদার ও রাতুল খলিফা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র রিমন গাজীকে মারধর করে। এর জের ধরে দশম শ্রেণির ছাত্র রিমন গাজী ও সাহাব হাওলাদার গত বুধবার সকালে রাতুলকে স্কুলে আসতে নিষেধ করে।
আজ সকালে রিমন গাজী ও সাহাব হাওলাদার স্কুল ক্যাম্পাসে হামলা চালিয়ে নবম শ্রেণির ছাত্র রাতুল খলিফাকে মারধর করে। এতে রাতুল খলিফা ক্ষিপ্ত হয়ে বহিরাগত ১০/১২ জন বন্ধু নিয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে বেলা ১২টার দিকে স্কুল ক্যাম্পাসে রিমন গাজী ও সাহাব হাওলাদারের উপর হামলা চালায়। এ সময় দুই শিক্ষক এবং ৫ ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করে তারা। এ নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা এবং সংঘর্ষ হয়। হামলা-সংঘর্ষে হামলায় সহকারী শিক্ষক কাজী মো. মেজবা উদ্দিন, তমাল চক্রবর্তী, ছাত্র রিমন গাজী, সাহাব হাওলাদার সহ ৭ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা বহিরাগত ছাত্র হৃদয় হোসেনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে।
এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অঞ্জনা রানী বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি আফজাল।