ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে করোনা ভাইরাস চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীদের এক মাসের খাবারের বিল ২০ কোটি টাকা বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে খবর প্রচারিত হয়েছে সেটিকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা ও বানোয়াট’ বলে দাবি করেছেন ঢামেক পরিচালক নাসির উদ্দিন।
বুধবার (১ জুলাই) ঢাকা মেডিকেল কলেজে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন দাবি করেন।
প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনার চিকিৎসায় নিয়োজিত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীদের এক মাসের খাবারের বিল ২০ কোটি টাকা এসেছে বলে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।
বিষয়টি সংসদ অধিবেশনে উঠলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও গত সোমবার এ নিয়ে কথা বলেন। এক মাসের খাবারের বিল ২০ কোটি টাকা কী করে হয়, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার এ বিষয়ে কয়েকজন সাংবাদিকের সামনে ব্যাখ্যা দিলেও বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ঢামেকে এক মাসের খাবারের বিল ২০ কোটি টাকা বলে গণমাধ্যমে আসা খবরকে মিথ্যা বলে দাবি করেন ঢামেক পরিচালক।
নাসির উদ্দিন বলেন, ‘গত দুই মাসে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলেন চিকিৎসক, নার্স, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী এবং আনসার সদস্যসহ মোট ৩ হাজার ৬৮৮ জন। ডিউটি রোস্টার অনুযায়ী তারা এক সপ্তাহ করোনা ওয়ার্ডে ডিউটি করার পর পরবর্তী তিন সপ্তাহ আবাসিক হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। এ হিসাবে প্রত্যেককে এক মাস করে আবাসিক হোটেলে অবস্থান করতে হয়।’
ঢামেকের পরিচালক আরও বলেন, ‘গত দুই মাসে আবাসিক হোটেল ভাড়া, দৈনিক তিন বেলার খাবার এবং যাতায়াত ভাতা বাবদ সম্ভাব্য ব্যয় ২৬ কোটি টাকা হিসাব ধরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কাছে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। কিন্তু বিভিন্ন গণমাধ্যমে চিকিৎসকদের এক মাসের খাবার খরচবাবদ ২০ কোটি টাকা শীর্ষ প্রতিবেদন সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’