 
                                            
                                                                                            
                                        
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের প্রতি রাষ্ট্রীয় অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে খুলনায় আগুয়ান-৭১ এর প্রতিবাদি মানববন্ধন। এদিকে খুলনায় অবস্থিত আড়ং কোন ক্রেতা দেখা যায়নি। এঘটনার পর থেকেই আড়ং এর সকল কেনাকাটা বন্ধ করে দেয় খুলনাবাসি।
ক্রেতা শুন্যতায় ভুগছে খুলনার আড়ং গত ছয় দিনের ব্যবধানে একই পণ্যের দাম দ্বিগুণ নেয়ায় আড়ংকে জরিমানা ও আউটলেট বন্ধ করায় ক্রেতাদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তা মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারকে বদলি আদেশের পর তা আবার স্থগিতের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আড়ং ইস্যু রীতিমত ভাইরাল হয়ে গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় খুলনায় আড়ংয়ের আউটলেট ক্রেতা সংকটে ভুগছে।
আজ মঙ্গলবার (৪জুন) সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত খুলনার নিউমার্কেট এলাকায় অবস্থিত আড়ং আউটলেটের ক্রেতা শুন্যতা সকলের নজরে এসেছে। পাশাপাশি অন্যান্য ব্রান্ডের আউটলেট গুলোতে ওই সকল ক্রেতারা ঈদের কেনাকাটা করছেন। তবে ক্রেতা সংকটের বিষয়ে খুলনার আড়ং আউটলেটের কোন কর্মকর্তা মন্তব্য করতে রাজি হননি। বিভিন্ন ব্রান্ডের আউটলেট থেকে কেনাকাটা শেষে বেড়িয়ে আসা বেশ কয়েকজন ক্রেতার সাথে কথা বললে তারা জানান, জেনে শুনে এতবড় ডাকাতির শিকার হতে কেউ চাইবেনা।
এধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান তারা। আহমেদ শওকত হোসেন নামে এক ক্রেতার অভিযোগে বলেন, গত২৫ মে আড়ংয়ের উত্তরা শাখা থেকে ৭১৩ টাকায় একটি পাঞ্জাবি কিনেছিলেন। ছয় দিন পর ৩১ মে ওই একই পাঞ্জাবি কিনতে গিয়ে দেখেন, সেটির দাম ১৩০৫ টাকা। বেশি দামেই পাঞ্জাবিটি কিনে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করেন তিনি। তার অভিযোগের ভিত্তিতে আড়ংয়ে অভিযান চালিয়ে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি আউটলেটটি একদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। জরিমানা করে অফিসে যাওয়ার পর বিকাল পর্যন্ত ছিলেন মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। তখনও তার বদলির আদেশ হয়নি। সন্ধ্যার পর ওয়েবসাইটে তার বদলির আদেশ দেয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে ১৩ জুনের মধ্যে তাকে তার বদলির কর্মস্থল সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের খুলনা জোনের এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় ১৩ জুন দুপুরে তার বর্তমান কর্মস্থল হতে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত (স্ট্যান্ড রিলিজ) মর্মে গণ্য হবেন। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও মিডিয়ায় কড়া সমালোচনার পর তার বদলী অাদেশ স্থগিত করা হয়েছে।