মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে চলন্ত সিএনজি-অটোরিকশায় কলেজছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় সিএনজি থেকে লাফ দিয়ে নিজের সম্ভ্রম বাঁচালেও ওই ছাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে। ঘটনার পর শুক্রবার ওই ছাত্রীর চাচা বাদী হয়ে কমলগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় উপজেলার মুন্সীবাজার জেনুইন কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে পরানধর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মুন্সীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সফিকুর রহমান জানান, মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী দিপা চন্দ (১৯) জেনুইন কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে কোর্স করতো। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার ট্রেনিং সেন্টার থেকে বের হয়ে বাড়ি ফেরার জন্য সিএনজি-অটোরিকশায় চড়ে। এ সময়ে গাড়ির চালক মুন্সীবাজারের মইডাইল গ্রামের আব্দুল মতলিব (২৫) পূর্বপরিকল্পিতভাবে গাড়ির পেছনে বসে। আর গাড়ি চালাতে দেয় কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হানিফ উল্ল্যাকে (৩০)।
গাড়ি কিছুদূর যেতেই আব্দুল মতলিব শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ সময়ে গাড়ি থামাতে হানিফ উল্ল্যাকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তিনি তা করেননি। এক পর্যায়ে সম্ভ্রম বাঁচাতে গাড়ি থেকে লাফ দিয় তিনি। তার হাত, মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত লাগে। পরে স্থানীয় পথচারীরা তাকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে মৌলভীবাজার সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। খবর পেয়ে মহিলা পরিষদ মৌলভীবাজার জেলা ও কমলগঞ্জ উপজেলা শাখার নেতারা হাসপাতালে যান এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
মেয়ের মা দ্বিপালী রাণী চন্দ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ ঘটনায় মেয়ের চাচা শিবুল শীল বাদী হয়ে শুক্রবার উল্লিখিত দু’জনকে আসামি করে কমলগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মুকতাদির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।