কর্মী নেই, প্রার্থীর নিজেই মাইকিং করে প্রচারণা!

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীরা নিজে, দলের কর্মী এবং সমর্থক নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত তখন ব্যতিক্রমী শুধু একজন। প্রচারণা জন্য নিজেই মাইকিং করছেন, যাচ্ছেন ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে। কুড়িগ্রাম-১ আসনের জাকের পার্টির প্রার্থী, সাবেক ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হাই মাষ্টার।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঝাপ খোলা একটি ইজি বাইকের সামনে পিছনে দুটি মাইক বেঁধে চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনী এলাকা। বাজারে বাজারে থেমে চালাচ্ছেন কুশল বিনিময় আর জনসংযোগ। মাইকে নিজের পরিচয় দিয়ে ভোট চাচ্ছেন। বাজারে বাজারে থেমে মাইকে ঘোষণা দেন, “আমি হাই মাষ্টার, ভাই বোনদের বলে যাই গোলাপ ফুল মার্কায় ভোট চাই। আমাকে ভোট দিয়ে এলাকার সমস্যা সমাধানে সংসদে কথা বলার সুযোগ দিন”। তার এ প্রচারনা ভোটের মাঠে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। সাধারণ ভোটাররাও বেশ আগ্রহের সাথে শুনছেন তার মাইকিং।

এই বিষয়ে আব্দুল হাই মাষ্টার জানান, তার কোন কর্মী বাহিনী নেই, নিজেই প্রার্থী, নিজেই কর্মী এবং প্রচারক। তিনি সারা জীবন জনগণের কাজ করেছেন, নাগরিক সমস্যা, পরিবেশ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

আব্দুল হাই মাষ্টার ২০০৮ সালে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি একই উপজেলার বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হন। উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালে পরিবেশ রক্ষায় ভূরুঙ্গামারী উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় ময়লার ভাগাড়ে নেমে ময়লা পরিষ্কার করতেন। বিষয়টি জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ইত্যাদিতে উঠে আসে। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মহাজোট প্রার্থী জাতীয় পার্টির একেএম মোস্তাফিজুর রহমানের নিকট পরাজিত হন।

আব্দুল হাই মাষ্টারের হলফনামানুসারে জানা যায়, তিনি ভুরুঙ্গামারী উপজেলা সদর ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার গ্রামের মৃত: এন্তাজ আলীর পুত্র। বিএ পাস করেছেন। সম্পত্তি বলতে বাড়িভিটাসহ ২৮ শতক জমি, একটি টিভি, ওয়ার্ডরোব, ৫ ভরি স্বর্ণ এবং নগদ ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা রয়েছে। তবে তার কোন ধরনের ঋণ বা মামলা নেই।

কুড়িগ্রাম-১ আসন গঠিত হয়েছে দু’টি উপজেলা নিয়ে। এরমধ্যে নাগেশ্বরী উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন এবং ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই আসনটি। এখানে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৬১ হাজার ২৭২জন। এই আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে আছলাম হোসেন সওদাগর, জাতীয় পার্টি লাঙ্গল প্রতীকে একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, বিএনপি’র ধানের শীষ প্রতীকে সাইফুর রহমান রানা, ইসলামী আন্দোলন হাতপাখা প্রতীক আব্দুর রহমান প্রধান, জাকের পার্টি গোলাপ ফুল প্রতীকে আব্দুল হাই, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আম প্রতীক জাহিদুল ইসলাম, জাতীয় পার্টি জেপি বাইসাইকেল প্রতীক রশীদ আমেদ, তরিকত ফেডারেশন ফুলের মালা প্রতীকে কাজী লতিফুল কবির রাসেল।