এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫ জন সংসদ সদস্য। তাদের মধ্যে চারজন মারা গেছেন। তারা হলেন—মোহাম্মদ নাসিম (সিরাজগঞ্জ-১), সাহারা খাতুন (ঢাকা-১৮), ইসরাফিল আলম (নওগাঁ-৬) ও মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী (সিলেট-৩)।
এমপিদের মধ্যে যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তারা হলেন—শহীদুজ্জামান সরকার (নওগাঁ-২), এবাদুল করিম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫), মোহাম্মদ নাসিম (সিরাজগঞ্জ-১), মুহাম্মদ ফারুক খান (গোপালগঞ্জ-৪), ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন (ফরিদপুর-৩), আ ক ম মোজাম্মেল হক (গাজীপুর-১), টিপু মুনশি (রংপুর-৪), বীর বাহাদুর উশৈসিং, আব্দুস শহীদ (মৌলভীবাজার-৪), রণজিৎ কুমার রায় (যশোর-৪), ফরিদুল হক খান (জামালপুর-২), মোসলেম উদ্দিন আহমেদ (চট্টগ্রাম-৮), মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১৬), মোকাব্বির খান (সিলেট-২), মাশরাফি বিন মুর্তজা (নড়াইল-২), জাহিদ ফারুক (বরিশাল-৫), এনামুল হক (রাজশাহী-৪), ফেরদৌসী ইসলাম জেসি (সংরক্ষিত আসন), ইসরাফিল আলম (নওগাঁ-৬), আব্দুল মমিন মন্ডল (সিরাজগঞ্জ-৫), মো. ছলিম উদ্দীন তরফদার (নওগাঁ-৩), মীর মোস্তাক আহমেদ রবি (সাতক্ষীরা-২), জোয়াহেরুল ইসলাম (টাঙ্গাইল-৮), এম এ মতিন (কুড়িগ্রাম-৩), মনসুর রহমান (রাজশাহী-৫), মো. একাব্বর হোসেন (টাঙ্গাইল-৭), এস এম শাহজাদা (পটুয়াখালী-৩), মো. শাহাব উদ্দিন (মৌলভীবাজার-১) এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৬), রুমিন ফারহানা (সংরক্ষিত আসন), রমেশ চন্দ্র সেন (ঠাকুরগাঁও-১), দবিরুল ইসলাম (ঠাকুরগাঁও–২), মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান (মেহেরপুর-২), নুর মোহাম্মদ (কিশোরগঞ্জ-২), সালমা চৌধুরী (সংরক্ষিত আসন), পংকজ নাথ (বরিশাল-৪), আক্তারুজ্জামান বাবু (খুলনা-৬) খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ( দিনাজপুর-২), তানভীর হাসান ছোট মনির (টাঙ্গাইল-২), আতিউর রহমান আতিক (শেরপুর-১), ড. হাছান মাহমুদ(চট্টগ্রাম-৬), মো. আবু জাহির (হবিগঞ্জ-৩), মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী (ফেনী-৩),
শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন (ঢাকা-১০), শেখ হেলাল উদ্দীন (বাগেরহাট-১), ছানোয়ার হোসেন (টাঙ্গাইল-৫), নুরুজ্জামান বিশ্বাস (পাবনা-৪), শহীদুজ্জামান সরকার (নওগাঁ-২), বেগম হাবিবুন নাহার (বাগেরহাট-৩) মকবুল হোসেন (পাবনা-৩), সাদেক খান (ঢাকা-১৩), ইমরান আহমদ (সিলেট-৪), মুজিবুল হক চুন্নু (কিশোরগঞ্জ-৩), মোতাহার হোসেন (লালমনিরহাট-১), আসাদুজ্জামান খান কামাল (ঢাকা-১২), নুরুল ইসলাম তালুকদার (বগুড়া-৩), আকবর হেসেন পাঠান (ঢাকা-১৭), জাহিদ আহসান রাসেল (গাজীপুর-২), মাহবুব উল আলম হানিফ (কুষ্টিয়া-৩), শফিকুল আজম খান চঞ্চল (ঝিনাইদহ-৩), একে আব্দুল মোমেন (সিলেট-১), শহারিয়ার আলম (রাজশাহী-৬), আবু সাঈদ আল মাহমুদ (স্বপন), বিএনপির জাহিদুর রহমান (ঠাকুরগাঁও-৩), নাদিরা ইয়াসমিন জলি (সংরক্ষিত আসন), তাহমিনা বেগম (সংরক্ষিত আসন), নুরুল ইসলাম নাহিদ (সিলেট-৬), সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি (মুন্সীগঞ্জ-২), ডা. দীপু মনি (চাদঁপুর-৩), আসাদুজ্জামান নূর (নীলফামারী-২), মৃণাল কান্তি দাস (মুন্সীগঞ্জ-৩), সাহাদারা মান্নান (বগুড়া-১), সামশুল হক চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১২) ও গোলাম ফারুক প্রিন্স (পাবনা-৫)।
সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী গত ৮ মার্চ নমুনা পরীক্ষার করালে তার দেহে করোনা শনাক্ত হয়। ১১ মার্চ রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে তিনি করোনার টিকা নিয়েছিলেন।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৩ জুন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম (সিরাজগঞ্জ-১), ১০ জুলাই সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন (ঢাকা-১৮) ও ২৭ জুলাই ইসরাফিল আলম (নওগাঁ-৬) মারা যান। এছাড়া, ১৩ জুন করোনায় মারা যান ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ মুহম্মদ আবদুল্লাহ। তিনি টেকনোক্র্যাট কোটায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন, ‘দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় সারা দেশ লকডাউন করেছিল সরকার। এ সময় দেশের মানুষ ঘরে থাকলেও জনপ্রতিনিধিরা জনগণের পাশে থাকতে নানা কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। এজন্য তারা বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। কয়েকজন এমপি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তারা রাজনীতিতে সফল ছিলেন। তাদের মৃত্যুতে দেশ ও জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’