বিশ্বকাপের তৃতীয় ম্যাচে রুদ্ধশ্বাস এক জয় পেয়েছে পাকিস্তান। তারা আফগানিস্তানকে হারিয়েছে ৫ উইকেটে। এর ফলে টানা তিন জয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রাখলো বাবর-রিজওয়ানরা।
১৮তম ওভারের পঞ্চম বলে শোয়েব মালিক যখন আউট হন, তখন জেতার জন্য ১৩ বলে ২৪ রান প্রয়োজন ছিল পাকিস্তানের। হাতে উইকেট ছিল ৫টি। আফগানিস্তানের বোলিং তোপে মনে হচ্ছিল ম্যাচটি হারতে যাচ্ছে পাকিস্তান।
কিন্তু এরপর আসিফ আলী যা করলেন তা এক কথায় অবিশ্বাস্য। করিম জানাতের করা ১৯তম ওভারে চার-চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। তার ৭ বলে করা ২৫ রানের ইনিংসে ভর করে আফগানিস্তানের ছুড়ে দেওয়া ১৪৮ রানের টার্গেট পাকিস্তান ৬ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই ছুঁয়ে ফেলে।
রান তাড়া করতে নেমে ১২ রানেই প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। এ সময় মুজিব উর রহমানের বলে নাভিন উল হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মোহাম্মদ রিজওয়ান (৮)। দ্বিতীয় উইকেটে বাবর আজম ও ফখর জামান ৫২ বলে ৬৩ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ৭৫ রানের মাথায় মোহাম্মদ নবীর বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেন ফখর। ২৫ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রান করে যান তিনি। ৯৭ রানের মাথায় মোহাম্মদ হাফিজ ১০ বলে ১০ রান করে ফেরেন রশিদ খানের শিকার হয়ে। তাকে ফিরিয়ে রশিদ খান আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট শিকারের মাইলফলক স্পর্শ করেন।
দলকে জয়ের বন্দরের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন বাবর। কিন্তু ১২২ রানের মাথায় তাকে ফিরিয়ে জয়ের আশা জাগান রশিদ খান। বাবর ৪৭ বলে ৪ চারে ৫১ রান করে যান। এরপর ১২৪ রানে নাভিন উল হক পাকিস্তানের শোয়েব মালিককে ফেরালে এক সময় জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে আফগানরা।
কিন্তু করিম জানাতের করা ১৯তম ওভারে চার ছক্কা হাঁকিয়ে আফগানিস্তানের জয়ের স্বপ্ন গুড়িয়ে দিয়ে দুর্দান্ত এক জয় তুলে নেন আসিফ আলী। ৭ বলে ২৫ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে ম্যাচসেরাও হন তিনি।
তার আগে আফগানিস্তানের ব্যাটিংয়ের শুরুটা ছিল লেজে-গোবরে অবস্থা। ৭৬ রান তুলতেই হারিয়ে বসেছিল ৬ উইকেট। সেখান থেকে আফগানিস্তানকে ১৪৭ রানের লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী ও গুলবাদিন নাইব। তারা দুজন সপ্তম উইকেট জুটিতে অবিচ্ছিন্ন থেকে ৪৫ বলে ৭১ রান তোলেন। তার মধ্যে নবী ৩২ বলে ৫ চারে অপরাজিত ৩৫ ও গুলবাদিন ২৫ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রান করেন।
বল হাতে পাকিস্তানের ইমাদ ওয়াসিম ২টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন শাহীন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ, হাসান আলী ও শাদাব খান।