 
                                            
                                                                                            
                                        
চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজার উপকূলে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ শুক্রবার এ কথা বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
এদিকে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এ ছাড়া সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলে মৌসুমি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় একটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে দিঘার কাছে দিয়ে ৬ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় পশ্চিমবঙ্গ-ওডিশা উপকূল অতিক্রম করেছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং একটি মৌসুমি নিম্নচাপে পরিণত হয়। এটি বর্তমানে উত্তর ওডিশা, ঝাড়খন্ড ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ ভারতের রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ এবং মৌসুমি নিম্নচাপের কেন্দ্রস্থল গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটির বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত আছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং তা উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় বিরাজমান।