 
                                            
                                                                                            
                                        
সবার মন পড়ে আছে ঈদ উদ্যাপনে। ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে অনেকেই চলে গেছেন নিজ বাড়িতে। কেউবা আছেন পথে। এখন কেবল অপেক্ষার পালা—কখন আসবে ঈদ। কিন্তু ঈদের দিনটি কাটবে কেমন? ভাদ্রের ভ্যাপসা গরম সহ্য করতে হবে, নাকি বৃষ্টির কারণে ঘরবন্দী থাকতে হবে? কারণ, কয়েক দিন ধরে প্রকৃতিতে চলছে রোদ-বৃষ্টির লুকোচুরি। কখনো প্রচণ্ড গরম, খানিক পর আবার ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। বৃষ্টি শেষ হতে না হতেই আবার গরমে অস্থির চারপাশ।
কাল বুধবার ঈদের দিনটি বৃষ্টিমুখর থাকবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে। তবে এই বৃষ্টি একটানা হওয়ার সম্ভাবনা কম। থেমে থেমে বৃষ্টি ঝরতে পারে। বৃষ্টির পর দেখা মিলবে রোদের।
আজ মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস থেকে জানা গেছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন ওডিশা উপকূল এলাকায় লঘুচাপটি বর্তমানে ছত্রিশগড় ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এ ছাড়া মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে। এ কারণে ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় বৃষ্টির প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
বৃষ্টি কমলেও লঘুচাপের প্রভাবে প্রচুর জলীয় বাষ্প রয়েছে বাতাসে। এ কারণে তাপমাত্রা কম থাকলেও শরীর থেকে প্রচুর ঘাম ঝরছে। এ জন্য মানুষের মধ্যে অস্থিরতা ভাব থাকছে বলে জানান আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
আবহাওয়াবিদ রাশেদুজ্জামান বলেন, আগামীকাল ঈদের দিন সারা দেশই বৃষ্টিমুখর থাকবে। তবে এই বৃষ্টি টানা হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে সকালবেলা তেমন একটা বৃষ্টি হবে না। এসব অঞ্চলে দুপুরের পর বৃষ্টি হতে পারে। সকালবেলা বৃষ্টি হতে পারে রংপুর, দিনাজপুর এবং দক্ষিণে খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলে। তবে চট্টগ্রাম, খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টির মাত্রা বেশি হবে।
লঘুচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। এ কারণে উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সাগর উত্তাল থাকায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌযানগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি চলাচল করতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব নৌযানকে গভীর সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।