 
                                            
                                                                                            
                                        
ফুটবল এখনো মাঠেই খেলা হয়। কিন্তু একজন ফুটবলারের জনপ্রিয়তা এখন আর মাঠের পারফরম্যান্সে অনূদিত হয় না। দল যেমনই করুক না কেন, ম্যাচের আগে পরে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম আর টুইটারে সরব উপস্থিতি থাকে ফুটবলারদের। মাঠের পারফরম্যান্সের চেয়ে সেখানে একটা ভালো ছবি আর দুর্দান্ত কিছু অনুপ্রেরণামূলক বাক্যই যে জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দিতে যথেষ্ট। ক্রিশ্চিয়ান ভিয়েরির দাবি, এখন শুধু ইনস্টাগ্রাম ভালোভাবে চালালেই দুর্দান্ত স্ট্রাইকার হয়ে যাচ্ছেন সবাই।
গত শতাব্দীর শেষভাগ ও এ শতাব্দীর শুরুতে সিরি ‘আ’র আতঙ্ক ছিলেন ভিয়েরি। ইতালিয়ান এই স্ট্রাইকার আলোকিত করেছেন সান সিরো (ইন্টার ও এসি—দুই মিলানের হয়েই)। জুভেন্টাস, লাৎসিও ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের জার্সিতেও করেছেন গোলের পর গোল। অবসরের পর নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন রেস্তোরাঁ ব্যবসা ও নিজস্ব ব্র্যান্ডের ফ্যাশন ব্যবসায়, ইদানীং আবার ডিজে হওয়ার চেষ্টা করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বেশ ভালোভাবেই আছেন। ১৯ লাখ ভক্ত তাঁকে অনুসরণ করছে ইনস্টাগ্রামে। এরই ফাঁকে খেলা দেখার সময় করে নিচ্ছেন। সেটা দেখতে গিয়েই বিরক্ত হয়ে গেছেন উত্তরসূরিদের ওপর।
ভিয়েরির দাবি বর্তমানের ফুটবলাররা মাঠে পরিশ্রম করার চেয়ে সামাজিক মাধ্যমে সময় কাটাতেই ব্যস্ত, ‘ইদানীং স্ট্রাইকার হওয়ার জন্য ভালো ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থাকলেই যথেষ্ট। আগে কেউ যদি গোল করতে ব্যর্থ হতো, তখন নিজেকে ঘরে আটকে রাখত। পরের দিন যে ভুল করেছে, সেগুলো আবার দেখত এবং উন্নতি করার চেষ্টা করত। রেডিও ডিজেকে আরও বলেন, এখন এসব আর কেউ করে না। আমরা সবাই অসুস্থ ছিলাম, আমাদের পুরো প্রজন্ম বিশেষ করে স্ট্রাইকাররা। আমরা গোলের জন্য অসুস্থ ছিলাম।’
ইতালির হয়ে ৪৯টি ম্যাচ খেলা ভিয়েরি ছিলেন বক্সের মধ্যে ভয়ংকর। বর্তমানে বক্স নির্ভর স্ট্রাইকারের দেখা পাওয়া কঠিন। সত্যিকারের নম্বর নাইন বলতে ইদানিং সবাই মাউরো ইকার্দির কথাই বলেন। ভিয়েরির ইন্টারেই প্রতি মৌসুমে গোলের পর গোল করে চলেছেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। অনেকেই ইকার্দির মাঝে ভিয়েরির ছায়া দেখেন। তবে ইতালিয়ান সাবেক স্ট্রাইকার সে দলে নেই, ‘ইকার্দি? আমরা ভিন্ন খেলোয়াড়। আমি সবার সঙ্গে লড়তে চাইতাম। আমি সিরি ‘আ’তে ১৪০ এর মতো গোল করেছি। আমার প্রায় সবগুলোর কথা মনে আছে। এমনকি যে সব সুযোগ হাতছাড়া করেছি, সেগুলোও।’ ৪১ লাখ অনুসারী নিয়ে ইনস্টাগ্রামে থাকা ইকার্দি যদিও কখনো গোল মনে না রাখার ব্যাপারে কিছু বলেছেন কি না সেটা বোঝা যাচ্ছে না!