ইউপি নির্বাচন সফল, দাবি সিইসির

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ‘অংশগ্রহণমূলক ও সফল হয়েছে’ বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।

তিনি বলেছেন, ‘সামগ্রিক অর্থে নির্বাচন সফল হয়েছে। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে; দুর্ঘটনা ও হতাহত হয়েছে। যেগুলো কোনোভাবেই কাম্য নয়। তবুও নির্বাচনের মানদণ্ড যদি ভোট প্রদান হয়, তাহলে আমি বলবো দুই ধাপে নির্বাচনে গড়ে ৭৪ শতাংশ ভোট পড়েছে।’

বুধবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভায় সূচনা বক্তৃতা করেন সিইসি। সভার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।

তবে সভার সূচনা বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে সিইসি নূরুল হুদা বলেন, ‘আগামী নির্বাচনগুলোতে গোলযোগ-সহিংসতা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শক্ত অবস্থান থাকবে। আমরাও আপ্রাণ চেষ্টা চালাবো।’

সভার শুরুতে সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘এবারের ইউপি নির্বাচনে দুই ধাপে ২০টির বেশি দল অংশ নিচ্ছে। আমরা দাবি করছি, প্রতিযোগিতামূলক ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। পরবর্তী নির্বাচনগুলোকে সামনে রেখে আজকের সভায় পর্যালোচনা করবো এবং ভবিষ্যতে আরও সঠিক ও শক্তভাবে কীভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা করা হবে।’

মার্চে তফসিল ঘোষণা করা হলেও করোনার কারণে ভোট পেছাতে হয়েছে, এ প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, ‘করোনার কারণে নির্বাচন নিয়ে কষ্টের মধ্যে আছি। তারিখগুলো শিফট করতে হচ্ছে। সরকারের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে পরামর্শ করে নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছে ইসি সচিবালয়।’

প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘মাঠপর্যায়ে যারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখে নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। যেখানে নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল না, সেসব জায়গায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।’

jagonews24

নূরুল হুদা বলেন, ‘আমরা দেখেছি, কোথাও কোথাও মারামারি হয়েছে, খুন-জখম হয়েছে। তারপরেও স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখে নির্বাচন চালু রেখেছে। সেই নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।’

‘আগামীতে সহিংসতা রোধে আপ্রাণ চেষ্টা’
আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সিইসি। এসময় তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে সহিংসতা রোধে আপ্রাণ চেষ্টা করা হবে। এ লক্ষ্যে আগাম গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছ।’

সিইসি বলেন, ‘অনেকে গ্রেফতার হয়েছে। আরও অনেককে গ্রেফতারের তৎপরতা চলছে। এলাকার মাস্তান, যারা বিশৃঙ্খলা করতে পারে তাদের আগাম গ্রেফতারের জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।’

তিনি বলেন ‘এমপি-মন্ত্রীদের অধিকাংশই আচরণবিধি অনুসরণ করেন। দু-চারজন মানছেন না বলে অভিযোগ এসেছে। তাদের চিঠিও দেওয়া হয়েছে এলাকা ছাড়ার জন্য।’

‘প্রত্যেকটি ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। আচরণবিধি লংঘন করলে অতীতে মামলা করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, আগামীতেও প্রয়োজনে মামলা করা হবে। প্রথম দুই ধাপের ভোটে সহিংসতা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে’ বলেন সিইসি।

সভায় চারজন নির্বাচন কমিশনার (ইসি), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, ইসি সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, আনসার ও ভিডিপি, ডিজিএফআই, এনএসআই-এর প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থনীতিজাতীয়প্রচ্ছদ এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কমলাপুর রেলস্টেশনের ঘাস নিয়ে লাইভ করার পর এবার ট্রেনে ওঠার সময় নারী ও বৃদ্ধাদের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফের ফেসবুক লাইভ করলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে যারা রেলে চলাফেরা করেন তাদের প্রতি কি একটু সহায় হবেন- এমন আহ্বান জানান তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেউ যদি বউ-বাচ্চা, বৃদ্ধা মা-বাবাকে নিয়ে ট্রেনে উঠতে চান তা হলে বউ থাকবে কই আর মা-বাবা থাকবে কই। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফেসবুকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। লাইভে এসে প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে ওঠার সিঁড়ির দূরত্ব দেখিয়ে সুমন বলেন, ‘এই ট্রেনটাকে মিটার গেজ (পরে সংশোধন করে বলেন ব্রডগেজ) বলা হয়। আমার প্রশ্ন হলো-প্ল্যাটফ্রম থেকে দূরত্ব বা উচ্চতা কত? ব্রিটিশ আমলের ট্রেনগুলো ছিল এমন। আপনারা (রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ) নতুন ট্রেন আনলেন কিন্তু প্ল্যাটফর্ম এখনো পুরনো।’ রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত লোকদের দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখেন সবাই, প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের উচ্চতা দোতলার সমান। কোনো স্টেশনে ট্রেনটি তিন মিনিট থামে। তিন মিনিটে ৫০ জন মানুষ প্রায় দুই তলার সমান উচ্চতায় ওঠা কি সম্ভব?’ রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী, ট্রেন আপনি অনেক উঁচু বানিয়ে দিছেন। আর প্ল্যাটফর্ম এখানে বিট্রিশ আমলের। আমি কমলাপুর সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে বলছি। আর গ্রামের স্টেশনগুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ। সেখানে ট্রেনে উঠতে তো রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। বউ বাচ্চা নিয়ে ওঠা একটা বে-ইজ্জতের কারবার।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুনিয়া এগোচ্ছে, সব কিছু এগোচ্ছে। রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবেন না। তবে ব্রেইনে আনেন পরিবর্তন করার। আপনারা বউ-বাচ্চা লইয়া ট্রেনে যাতায়াত করবেন কি-না জানি না। তবে, এই প্ল্যাটফর্ম ট্রেনের সমান করতে কোটি কোটি টাকার দরকার পড়বে না। আশা করি রেলমন্ত্রীসহ সকলেই এর প্রতি সদয় হবেন।’ এর আগে (৩০ মে) ব্যারিস্টার সুমন স্টেশনের সামনে রেললাইনের ওপর বেড়ে ওঠা ঘাস কেটে পরিচ্ছন্ন করার অনুরোধ জানিয়ে তার নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ দেন। এর পরদিনই (শুক্রবার) সেসব ঘাস কেটে পরিষ্কার করে ফেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর জন্য ট্রেনে তুলে দিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেখানে তিনি দেখেন, রেললাইনের ওপর বড় বড় ঘাস জন্মেছে। যা কাটার জন্য কারো সময় নেই। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলের সময় নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। মোটামুটি ভালোই চলতেছে। এজন্য রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’ ওই লাইভে তিনি আরও বলেন, এটা দেশের সবচেয়ে বড় রেলস্টেশন। এটা কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন। এ সময় তিনি এক হাত লম্বা লম্বা ঘাস দেখিয়ে বলেন, ‘কিছু লোক লাগিয়ে ঘাসগুলো পরিষ্কার করলে স্টেশনটা অনেক সুন্দর হয়ে যেত।’
৬ years ago