 
                                            
                                                                                            
                                        
গান, চলচ্চিত্রের ট্রেইলার, শিক্ষণীয়সহ বিভিন্ন ধরনের ভিডিও কনটেন্টের জন্য ইউটিউবের কোনও বিকল্প নেই। জনপ্রিয় এ সাইটে সর্বকালের শীর্ষ পাঁচটি ভিডিও হলো মূলত গান। কয়েকদিন আগে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গীত শিল্পী সাইয়ের সাড়া ফেলা গ্যাংনাম স্টাইল ছিল ইউটিউব দর্শকপ্রিয়তার শীর্ষে। সম্প্রতি এই স্থানটি দখল করে নিয়েছে উইজ খলিফার সি ইউ এগেইন গানটি। চলুন জেনে নেওয়া যাক ইউটিউবের সর্বকালের শীর্ষ পাঁচ ভিডিও যেগুলো-
১. সি ইউ এগেইন: সি ইউ এগেইন গানটি ২০১৫ সালের ১০ মার্চ মুক্তি পায়। ৩ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের এ গান আমেরিকান র্যা পার উইজ খলিফা রেকর্ড করেন এবং এর ফিচারিংয়ে ছিলেন চার্লি পুত। বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত জনপ্রিয় অ্যাকশনধর্মী চলচ্চিত্র ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস সিরিজের ফিউরিয়াস ৭–এ গানটি ব্যবহার করা হয়েছে। অভিনেতা পল ওয়াকার মারা যাওয়ার পর তার প্রতি সম্মান দেখাতে চলচ্চিত্রে সি ইউ এগেইন গানটিকে যুক্ত করা হয়। এখন পর্যন্ত জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা গানটি দর্শকরা দেখেছেন ২৯১ কোটি ৩৫ লাখেরও বেশিবার।
২. গ্যাংনাম স্টাইল: দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্পী সাইয়ের গাওয়া গ্যাংনাম স্টাইল ২০১২ সালের ১৫ জুলাই মুক্তি পায়। এটা ইউটিউবের প্রথম ভিডিও হিসেবে ১০০ কোটি ভিউয়ের মাইলফলক স্পর্শ করে একই বছরের ডিসেম্বর মাসের ১২ তারিখ। ৩ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের গ্যাংনাম স্টাইল দর্শকরা এখন পর্যন্ত দেখেছেন ২৮৯ কোটি ৮৮ লাখেরও বেশিবার।
৩. স্যরি: জাস্টিন বিবারের স্যরি গানটি মুক্তি পায় ২০১৫ সালে। পারপাস অ্যালবামের এ গানটি এখন পর্যন্ত দর্শকরা দেখেছেন ২৬৪ কোটি ৩৪ লাখেরও বেশিবার।
৪. আপটাউন ফাংক: আমেরিকান সঙ্গীতশিল্পী ব্রুনো মার্সের ফিচারিংয়ে আপটাউন ফাংক গানটি রেকর্ড করেন ব্রিটিশ প্রযোজক মার্ক রনসন। ২০১৪ সালের ১০ নভেম্বর মুক্তি পাওয়া গানটির অ্যালবাম দৈর্ঘ্য ৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ড। ইউটিউবে এখন পর্যন্ত গানটি দেখা হয়েছে ২৫৫ কোটি ৪০ লাখেরও বেশিবার।
৫. ডেসপাসিতো: ডেসপাসিতো গানটি পুয়ের্তোরিকান দুই শিল্পী লুইস ফনসি এবং ডেডি ইয়াংকির সৃষ্টি। এ বছরের জানুয়ারি মাসে মুক্তি পাওয়া এ গানের দৈর্ঘ্য ৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। ইউটিউবে এখন পর্যন্ত এটা দেখা হয়েছে ২৫৪ কোটি ৭২ লাখের বেশিবার। ব্যাপক জনপ্রিয়তার পাশাপাশি ডেসপাসিতো গানটি পুয়ের্তোরিকার পর্যটন শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। গানের ভিডিওতে যে সব জায়গা দেখানো হয়, সেগুলোর প্রতি সারা বিশ্বের পর্যটকদের আকর্ষণ আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে।