 
                                            
                                                                                            
                                        
ইউক্রেনে চলছে রাশিয়ার ভয়াবহ হামলা। ফলে লাখ লাখ ইউক্রেনবাসী জীবন বাঁচাতে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিচ্ছে। মানবিক কারণে ইউক্রেনের মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য ইউরোপের দেশগুলো সীমান্ত খুলে দিয়েছে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত ইউক্রেনের নাগরিকদের জন্য ভিসা সুবিধা বাতিল করেছে। বুধবার (২ মার্চ) সিএনবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
ইউক্রেনের নাগরিকরা কোনো ধরনের ভিসা ছাড়াই আমিরাতে ৩০ দিন থাকতে পারতো। তবে যুদ্ধ শুরুর কয়েক দিন পর এই সুবিধা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিলো মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থিত ইউক্রেনের দূতাবাস এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, ১ মার্চ থেকে ইউক্রেনের মন্ত্রিসভা ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা স্মারকের পদক্ষেপ স্থগিত করা হয়েছে। অর্থাৎ এখন থেকে আমিরাতে ভ্রমণ করতে হলে ইউক্রেনের নাগরিকদের উপযুক্ত ভিসার প্রয়োজন হবে।
তবে এ ঘোষণার পর ইউক্রেনের নাগরিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দেশটির প্রায় ১৫ হাজার নাগরিক আমিরাতে কর্মরত ও বসবাস করছেন। উপসাগরীয় দেশটির ৯০ শতাংশই প্রবাসী। বছরে ইউক্রেনের আড়াই লাখ পর্যটক দেশটি ভ্রমণে যায় বলে জানিয়েছে কিয়েভ সরকার।
চলমান যুদ্ধে ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছে আট লাখ ৩০ হাজার নাগরিক। তাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। জানা গেছে, রাশিয়ার ধারাবাহিক হামলায় প্রতিবেশী ইউরোপের দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে কিয়েভেবাসী। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। টানা কয়েকদিন ধরেই দুপক্ষের মধ্যে লড়াই চলছে। এদিকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।