আসামি নিজ এলাকার, বেঞ্চ থেকে সরে গেলেন বিচারপতি

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

একটি হত্যা মামলায় শুনানিতে বেঞ্চ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ননী। মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তার নিজ এলাকার হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চে কিশোরগঞ্জের ইটনা থানার ছিলনী গ্রামের বাসিন্দা মকবুল হোসেন ওরফে মকবুল হাসানের আপিল শুনানি চলছিল।

শুনানিতে আসামি মকবুলের গ্রামের নাম শুনে বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান বলেন, এর বাড়ি আমার পাশের গ্রামে। এ মামলার শুনানিতে আমি থাকতে চাই না। তখনই প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের অনুমতি নিয়ে তিনি মামলার শুনানির বেঞ্চ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন।

শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান ও উম্মে কুলসুম বেগম রেখা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

এ বিষয়ে আইনজীবী ফজলুর রহমান বলেন, মামলাটি আজ আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ছিল। সকালে শুনানি শুরু হলে মামলায় আসামির ঠিকানা দেখে বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান নিজেকে শুনানি থেকে প্রত্যাহার করে নেন।

জানা গেছে, মামলার রায়ের ক্ষেত্রে যাতে কোনো ধরনের প্রভাব না পড়ে কিংবা নিজের অজান্তে কোনো সহানুভূতি চলে না আসে সেজন্য তিনি মামলার শুনানি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০০৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর ওলিউল্লাহ নামে একজন খুন হয়। সেই মামলায় আসামি করা মকবুল হোসেনকে। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২০০৬ সালে মকবুল হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন।

এরপর ডেথ রেফারেন্স হিসেবে মামলাটি হাইকোর্টে আসে। আসামিও আপিল করেন। হাইকোর্ট শুনানি নিয়ে ২০১১ সালে তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। সেই আপিলের শুনানি চলছিল।