ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন) বলেছেন ‘আমি নৌকার বিরুদ্ধে না। আমি নৌকাকে হারাইনি, আমি আওয়ামী লীগকে হারাইনি, আমি একজন ব্যাক্তিকে হারিয়েছি। যে ব্যাক্তি স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি।’
রবিবার বিকেলে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আসন্ন উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচন উপলক্ষে নেতা কর্মীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত কর্মী সন্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন এমপি নিক্সন চৌধুরী।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘যে ব্যাক্তি তিন থানার জনগণকে ধোকা দিয়ে রক্ত চুষে খেয়েছে। যে ব্যাক্তি চল্লিশ বছরে তিন থানার জনগণকে উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে নিয়ে গেছে। সেই ব্যাক্তি কাজী জাফর উল্লার বিরুদ্ধে আমি জয়লাভ করেছি। আমরা কোনও মার্কার বিরুদ্ধে জয়লাভ করিনি। ব্যাক্তির বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সামনে উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচন এখন সময় এসেছে প্রমাণ করার এই তিন থানার জনগণ এক বছর আগে নিক্সন চৌধুরীকে যেভাবে ভালোবেসেছে এখনও সেইভাবে ভালোবাসে।’
এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম গঞ্জর আলী মোল্লার বড় ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ-সম্পাদক মোঃ আনোর আলী মোল্লাকে চরভদ্রাসন উপজেলা উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করেন এবং সকলকে আনোয়ার আলী মোল্লাকে বিজয়ী করার লক্ষে একযোগে কাজ করার আহ্ববান জানান নিক্সন চৌধুরী।
কর্মী সভায় আসার পূর্বে গাজিরটেক ইউনিয়নের বাসিন্দা এসএম ফরহাদের বাবার ও চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের কবর জিয়ারত করেন নিক্সন চৌধুরী। থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আজিজুল হক মাস্টারের সভাপতিত্বে কর্মী সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শাহাদাৎ হোসেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোঃ আনোয়ার আলী মোল্লা, জেলা পরিষদের সদস্য গোলাম রাব্বানী পান্নু কাজী, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল কালাম মাষ্টার, হাজীগঞ্জ বাজার বনিক সমিতির সভাপতি কবিরুল আলম ব্যাপারী, ব্যাবসায়ী এস. এম. ফরহাদ, রাসেল জামান, বজলু মৃধা, বাবুল মৃধা, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ নিজাম উদ্দিন, মোঃ খবিরুদ্দিন মাস্টার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আহসানুল হক মামুন প্রমুখ।
কর্মী সভার সার্বিক সঞ্চালনায় ছিলেন থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহজাহান মোল্লা।