 
                                            
                                                                                            
                                        
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আমার কাছে হিন্দু-মুসলিম-শিখ-ঈশায়ী সবাই এক। সেজন্য আমি যতদিন থাকব কারও ওপরে কোনও বঞ্চনা, লাঞ্ছনা হতে দেব না। কারও অধিকার কেড়ে নিতে দেব না। কাউকে বাংলা থেকে চলে যেতে হবে না।’
বৃহস্পতিবার ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী (সিএএ/ক্যা) আইনের তীব্র সমালোচনা করে ওই মন্তব্য করেন তিনি। মমতা বারাসতে ২৪তম যাত্রা উৎসবের উদ্বোধন এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলার জন্য একগুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস, উদ্বোধন ও সেবাপ্রদান অনুষ্ঠানে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের তীব্র সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, আমি জীবনে কখনও সাম্প্রদায়িকতাকে প্রশ্রয় দিইনি। ভারতের বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয সরকারকে উদ্দেশ করে মমতা বলেন, ‘নাগরিকত্বের জন্য তারা বলে বেড়াচ্ছে, তোমাকে পাঁচ বছর আগে বিদেশি হতে হবে, তারপর তুমি নাগরিক হবে। মানে, আমি ছিলাম স্বদেশী কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার আমাকে করে দিলো ‘বিদেশি’। এই তা হচ্ছে ‘ক্যা’। ‘ক্যা-ক্যা’ মানে কী জানেন? ‘ক্যা-ক্যা’ কেন করছে জানেন?
পশ্চিমবঙ্গের এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ক্যা-ক্যা’ মানে কী? ‘ক্যা-ক্যা’ মানে হচ্ছে, ধরুন আপনারা যারা ওপার বাংলা থেকে এসেছেন, এপার বাংলাতেও আছেন। বলুন তো আপনারা কতদিন ধরে এখানে আছেন? আজকে ৪০ বছর, ৫০ বছর ধরে এখানে থাকার পর আপনাকে অধিকার চাইতে হবে? আপনাকে নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবে? কীসের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব আপনাকে দেবে? আপনি নিঃশর্ত নাগরিক হয়ে বসে আছেন।
তিনি বলেন, কারণ আপনার রেশন কার্ড আছে, আপনার সার্টিফিকেট আছে, আপনার বাড়ির ঠিকানা আছে, আপনার দোকান আছে, আপনার সব আছে। মমতা ভোটার তালিকায় ভালো করে নাম নথিভুক্ত করার ওপর জোর দিয়ে আর কিছুই করতে হবে না বলে মন্তব্য করেন। পার্সট্যুডে।