কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধারকৃত অজ্ঞাতনামা তরুণীর লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম ইশিতা কর (১৬)। সে (ইশিতা) বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বারপাইকা গ্রামের নিপুল করের কন্যা ও কালকিনির ডাসার সরকারি শেখ হাসিনা উইমেন্স কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী।
যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলা সদরের রাজ্জাক সরদার (৩৩) কলেজ ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কুয়াকাটার হলিডে ইন নামের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গৌরনদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মাহাবুবুর রহমান জানান, ওই তরুণের মোবাইল ফোনের কললিষ্টের সুত্র ধরে গৌরনদী ও মহিপুর থানার ২জন এসআই সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বুধবার সকালে গৌরনদী থানার চাঁদশী গ্রামে তদন্তে যান।
সেখান গিয়ে জানতে পারেন ইশিতা করের বাড়ি আগৈলঝাড়া উপজেলার বারপাইকা গ্রামে। সে ওই গ্রামের নিপুল করের কন্যা ও কালকিনির ডাসার সরকারি শেখ হাসিনা উইমেন্স কলেজের একাদশ শ্রেণীর কলেজ ছাত্রী। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সকালে কলেজে পরীক্ষা দিতে গিয়ে নিখোঁজ হন।
এরপর তারা ওই গ্রাম থেকে নিপুল করের মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করে তাকে ফোন দিয়ে গৌরনদী থানায় আসতে বলেন। নিপুলসহ স্বজনরা বুধবার দুপুরে গৌরনদী থানায় আসলে তাদেরকে উদ্ধারকৃত তরুণীর লাশের ছবি দেখানো হয়। ছবি দেখে স্বজনরা ইশিতার লাশের শনাক্ত করেন।
মহিপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, প্রাথমিক অবস্থায় পুলিশ বাদি হয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালি মর্গে প্রেরন করেছে।
তরুনীর অভিভাবকরা গৌরনদী থেকে মহিপুরে পৌছার পরে অভিভাবককদের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হবে। জানা গেছে, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি কুয়াকাটার হলিডে ইন নামের একটি আবাসিক হোটেলের ২০৮ নম্বর কক্ষে স্বামী ও স্ত্রী পরিচয়ে ওই তরুণী ও এক তরুণ উঠেন। এ সময় হোটেল রেজিস্টারে তরুণ ওই যুবক ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করেন।