অমৃত রায়, নগর প্রতিবেদক:: সচেতনতার বালাই নেই ঢাকার অলি গলিতে। লকডাউন অমান্য করে বরাবর এর মতো চলছে মানুষের চলাফেরা,নেই মুখে মাস্ক। প্রসাশন এর কড়াকড়িতে দোকাপাট বন্ধ করার নির্দেশনা থাকায় সাটার ফালানোর পর দোকানের বাইরে জমে উঠে আরো ভীর।
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানগুলোতে যেন এ ভীর সামাল দেওয়া কষ্ট সাধ্য।অফিস ঘণ্টা শেষে ঘরে ফেরার তাগদায় যেমন ক্লান্ত,তেমনি রোজকার পণ্যের দামে ঊর্ধগতি থাকা সত্বেও কিনতে যাওয়ায় ভীরের কষ্ট। ফুটপাতে বসে ঘিঞ্জি পরিবেশে কেনাবেচা না করার নির্দেশ থাকলেও অনেকে পেটের দায়ে অবস্থান করছে অলি গলির মাথায়।বিশেষ করে ফেরিওয়ালারা। নিউমার্কেট অঞ্চলে আজিমপুরে ছাপড়া মসজিদের সামনে কয়েকজন এর সাথে কথা বললে ওনারা জানান; নাজনীন বেগম(৩৫/৩৬) “মাস্ক এর দাম বাড়িয়ে দিয়েছে দোকানদাররা। আর দোকান বন্ধ হয়ে গেলে চাল ডাল কিনমু কেমনে? সচেতন থাকলেই তো ঘরে খাবার আসবো না।তাই বের হইতেই হয়।”
সবজি বিক্রেতা সজীব (২২/২৫) বলেন,”সকাল বেলা অনেক ভীর হয়।কেউ ই তো মাস্ক পড়ে না। আমি মাস্ক ছাড়া কারো কাছে সবজি বিক্রি করমু না ভাবতাসি। সবজির কেনা দাম বেড়ে গেসে তাই আমাদেরও বেশি দামে বেঁচতে হয়।কি করমু বলেন?”
রিকশাওয়ালা সুজন মিয়া (৩৫/৩৮) বলেন,”আমগোরে কি লকডাউন দিয়া লাভ আছে? আপনেরা তো বেতন পান। আমগরে খাওন দিবো কেডা? সামনপ ঈদ। কাম না করলে নিজে খামু কি বাড়িত পাঠামু কি কন? পোলাপাইনের পড়াশোনা নাই কাজ করতে চায়,আমাগোরও তো স্বপ্ন আছিন ওগোরে বড় মানুষ বানামু।করোনা তে নাই সবই গুজব।”
এমন নানা মানুষের নানা অভিমত।আর সকলের চাহিদার কথা চিন্তা করলে করোনা আতঙ্ক যেন তাদের কাছে কেবলই গুজব। পেটের দায়ে বেঁচে থাকার জন্য হলেও লক ডাউন চান না অনেকেই।কিন্তু পরিস্থিতি তো মানতেই হবে।সচেতনতা আর সতর্কতা অাবশ্যক।